আই কে ইব্রাহীম :
‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের বান্দীর ভিটা (জমিদারের দাসীদের জন্য নির্ধারিত বাসস্থানের জায়গা) নামক একটি খাস জায়গায় নির্মিত হয়েছে ২৮ টি একক গৃহ। এখানে বসবাস করে ২৮ টি পরিবার, এদের একজন হলেন মরিয়ম বেগম। স্বামী পরিত্যক্তা এই দুস্থ মহিলার চারটি সন্তান। নিজের কোনো জায়গা জমি না থাকায় সাগরের কচুরিপানার মতো ভাসতে ছিলেন। একসময় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনি বরাদ্দ পান আশ্রয়ণের একটি ঘর।
আজ সেই ঘর হয়েছে তার স্বপ্ন বুনার নতুন অধ্যায়। ঘরের মধ্যেই তিনি একটি ছোট্ট মুদি (মনোহরী) দোকান করেছেন, এখানকার সকলেই তার দোকান থেকে এটা সেটা ক্রয় করেন। জমজমাট হয়ে উঠেছে তার এ দোকানটি।
রোববার নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন মরিয়মের স্বপ্নের সেই ঘরটি দেখতে যান। তিনি জানান, আমি মরিয়ম বেগমের ঘরে প্রবেশ করার পর পরই আমাকে বসতে বলে, আমি তার দোকানের চৌকিতে বসে পড়ি। রৌদ্রে আমি প্রচন্ড তৃষ্ণার্ত ছিলাম, বললাম আপনার ঘরে পানি খাব। পানির কথা বলাতে সাথে সাথেই দোকানের ট্যাং গুলিয়ে শরবত বানিয়ে নিয়ে আসে। এটা যেন শরবত ছিল না, ছিল এক পরম মমতায় বানানো স্বর্গীয় উপাদান। দুই গ্লাস খেলাম…।
এক সময়ের অভাবী মরিয়ম বেগম আজ স্বচ্ছল মুদি দোকানদার। মরিয়ম বেগমের চোখেমুখে আজ হাসি ভেসে বেড়ায়। তারাই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল, বিশ্বের সামনে একদিন তুলে ধরবে বাংলাদেশে সক্ষমতা।
আপনার মতামত লিখুন :