সাইমুম ইসলাম অপি।।
নতুন নতুন কালেকশানে পরিপূর্ণ কুমিল্লা নগরীর শপিংমল। নানান আকর্ষণীয় কালেকশানে সাজানো হয়েছে প্রত্যেকটি শপিংমল। এবারে ঈদ মাতাবে সুলতানি ও রাজশাহী সিল্ক। ঈদের বেচাকেনার দেখা না মিললেও বিক্রেতারা ভালো বিক্রির আশা করছেন।
নগরীর অন্যতম শপিংমল খন্দকার হক টাওয়ার ও সাত্তার খান কমপ্লেক্সে মোটামুটিভাবে লোক সমাগম ও ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়েছে। অপরদিকে ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজায় এখনও শুরু হয়নি ঈদের বেচাকেনা।
সরেজমিনে নগরীর শপিংমলগুলো পরিদর্শন করে জানা যায়, রোযার শুরু থেকে ঈদের বেচাকেনার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বিক্রেতারা। এবার পাঞ্জাবির অন্যতম আকর্ষণ রাজশাহী সিল্ক, সুলতানি, প্রিন্স, নকশি প্রভৃতি। সর্বনিম্ন একহাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পঁচিশ হাজার পর্যন্ত রয়েছে পাঞ্জাবির কালেকশন।
কিডস আইটেমের মধ্যে রয়েছে, টপস, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা প্রভৃতি। যার মূল্য সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত।
এবার ঈদে ছেলেদের অন্যতম আকর্ষণ পেপে প্যান্ট যার মূল্য ১০,৫০০ টাকা। উঠানো হয়েছে জন লেংফোর্ড, জিকিউ, এলেইন ডেলন ও জিফিনিসহ অনেক ধরনের টি-শার্ট। যার মূল্য ৪৮০০ থেকে ৬৫০০ পর্যন্ত।
ঈদের বিশেষ শো আইটেম সেন্ডেল ১৮৯০ টাকা, স্লিপার ওয়াটার প্রোপ ৮৯০ টাকা, হাফ সু-কালেকশান ২২৯০ টাকা, লুফার ২৬৯০ টাকাসহ প্রভৃতি কালেকশান এবারের মেইন শো আইটেম।
বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদের বেচাকেনার সকল প্রস্তুতি শেষ। ঈদের বেচাকেনা তেমন শুরু হয়নি। আশা করি এবার আরোও ভালো বিক্রি হবে। করোনার কারনে গত কয়েকবছর তেমন বেচাকেনা হয়নি তবে আশা করা যায় পূর্বের সমস্যা কাটিয়ে এবার ভালো উপার্জন করতে পারবো।
বিক্রেতা অজিৎ বলেন, সবাই ভালো বিক্রির প্রত্যাশা করে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিগত দু’বছরের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবো। মার্কেটে যারা আসে তারা কেনার জন্য আসে না কিনলে বুকিং দিয়ে যায়। করোনার কারনে মার্কেট দুর্বল হয়ে আছে। কিছুদিন গেলে বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে।
আপনার মতামত লিখুন :