
স্টাফ রিপোর্টার||
সৌদিতে ওমরায় গিয়ে হোটেল বিল না দিয়ে ৬৪ জন হাজী রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুর ট্যুর এন্ড ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মোয়াল্লেম আব্দুল্লাহ আল হাবিবের বিরুদ্ধে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, রমজানে ওমরাহ পালনে দিনাজপুর ট্যুর এন্ড ট্রাভেল ও আজিজিয়া এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস মিলে ১০২ জন ওমরাহ পালনকারীকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। এতে দুই এজেন্সির পক্ষ থেকে মোয়াল্লেম হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় দিনাজপুর ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এর মালিক আব্দুল্লাহ আল হাবিবকে। মোয়াল্লেম আব্দুল্লাহ আল হাবিব মদিনায় থাকা অবস্থায় ১০২ জন হাজীদের জন্য মদিনার দুইটি হোটেলে ৬ দিনের জন্য ২৪ টি রুম বুকিং করেন। এবং পরবর্তীতে ১ হোটেল বুকিং বাতিল করেন।অন্য হোটেলটিতে থাকা ও খাওয়া মিলে সকল দায়িত্ব নিয়ে হোটেলে সার্ভিস প্রদান করে হোটেল কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ হাসান।
মোঃ হাসানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ হাবিবকে সর্বোচ্চ ডিসকাউন্ট দিয়ে যে বিল হয়েছে তার মধ্য থেকে আরও তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পাওনা হই। কিন্তু মোয়াল্লেম হাবিব হোটলের বকেয়া পরিশোধ না করে মদিনা থাকে বাংলাদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্য ৬৪ জন ওমরাহ হাজী রেখে পালিয়ে যায়। কিন্তু মোয়াল্লেম হাবিবের বিমানের টিকেট বাতিল হওয়ায় দেশে যেতে পারেনি। পরবর্তীতে দেশে না যেতে পেরে আবার মক্কায় একটা হোটেলে অবস্থান করে মোয়াল্লেম হাবিব। মোহাম্মদ হাসান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোয়াল্লেম হাবিবকে ধরতে সক্ষম হয়। প্রমান সৌরুপ মোহাম্মদ হাছান ভিডিও ধারণ করেন। এবং মোয়াল্লেম হাবিব টাকা দিতে না পেরে বাংলাদেশে গিয়ে টাকা পাঠিয়ে দিবে বলে আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে তার ভয়েস রেকর্ডও রয়েছে।
রেকর্ডে মোয়াল্লেম হাবিব বলেন, আমার কাছে যতটুকু ছিল আমি আপনাদেরকে দিয়ে এসেছি। যাত্রীদের কাছ থেকে আমি টাকা এখনো পুরোপুরি হাতে পাইনি। যার কারণে এই সমস্যাটা হয়েছে। আমি বাংলাদেশে গিয়ে আপনাকে সাথে সাথে টাকাটা পাঠিয়ে দেব।
এ বিষয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তিনি আমাদেরকে কথা দিয়ে যাওয়ার পর তারপর পরবর্তীতে আমরা আর কোন খোঁজ পাইনি। আমাদেরকে টাকা আজ দিবে কাল দিবে বলে সে প্রতারণা করে গিয়েছে। এমনকি আমি তাকে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সে পরবর্তীতে জানায় যে তোমাদের কাছে কি প্রমাণ আছে আমি কোন টাকা দিতে পারব না। সে এখন আত্মগোপনে রয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল হাবিবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বলেছিলাম যে আমি টাকা তাদেরকে দিব। কিন্তু তারা আমাকে সুযোগ দিচ্ছে না।
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :