• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬ জুলাই, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ৬ জুলাই, ২০২২
Designed by Nagorikit.com

কুমিল্লার কামার পল্লীতে ব্যস্ত সময় পার!

কুমিল্লা জার্নাল

 

রুবেল মজুমদার।

পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে অন্যান্য বছর কুমিল্লার কামার পল্লীতে তুমুল ব্যস্ততা চোখে পড়লেও এবার দৃশ্যপট কিছুটা বদলে গেছে। কাজের চাপ নেই, নেই ক্রেতার সমাগমও। তাই হতাশ কামার পেশায় জড়িত লোকজনরা। ঈদ আসতে সপ্তাহ খানেক বাকি থাকলেও অবসর সময় কাটছে তাদের। কুমিল্লার চকবাজার কামার পল্লী ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

কুমিল্লার চকবাজারে ৩০টিরও অধিক দোকান নিয়ে গড়ে উঠেছে কামার পল্লী। সারা বছরই কুমিল্লা শহর ও এর আশপাশের এলাকার মানুষজন ছুরি, বটি, দা, টাক্কল কিনতে ও শান দিতে এখানে ভিড় জমান। তবে ঈদকে সামনে রেখে কামার পল্লীতে ক্রেতাদের ভিড় তেমন একটা চোখে পড়েনি। অল্প কয়েকজন ক্রেতা আসছেন, তাদের কেউ কেউ ছুরি-বটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে এসেছেন পুরনো দা ছুরি শান দেওয়ার জন্য।

কামার পাড়ায় ছুরি, বটি কিনতে আসা লোকজন বলছেন, আগের তুলনায় দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। আর বিক্রেতারা বলছেন, ছুরি চাকু টাক্কল বটি দা তৈরির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে এসব পণ্যের দাম। আগে এক বস্তা কয়লার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা থাকলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকা। এ ছাড়াও লোহার দামও বেড়েছে কয়েকগুণ।

কামার পল্লীর প্রবীণ ব্যবসায়ী বলাই কর্মকার বলেন, বাজারে লোকজনের সমাগম একেবারেই কম। তাই বিক্রিও কম। অন্যান্য সময়ে যে পরিমাণ বিক্রি হতো- ঈদের আগে যেনো তা আরো কমে গেছে। একেবারেই কাজ নেই। তার বেকার সময় কাটাতে হচ্ছে।

আরেক দোকানি লিটন কর্মকার বলেন, সব কিছুরই দাম বেড়েছে। দা-ছুরি বানাতে যে লোহা-কয়লা লাগে তার দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ফলে আমাদেরও দা-ছুরি বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আগে যে ছুরি ৭০ টাকায় বিক্রি করতাম, তা এখন ১০০ টাকা। ৪০০ টাকার টাক্কল এখন বেড়ে ৬০০-৬৫০ টাকা হয়ে গেছে। ফলে অনেক ক্রেতা এসে ফিরে যাচ্ছেন। তারপর বেচা-কেনা মোটামুটি ভালো হচ্ছে। তবে যতোটা আশা করেছিলাম, সে রকম হচ্ছে না।

 

জার্নাল/জাহিদ

আরও পড়ুন

  • কুমিল্লা এর আরও খবর