রুবেল মজুমদার||
কুমিল্লার ২৪ কিলোমিটার রেলপথের মাঝামাঝি ময়নামতি, লালমাই এবং আলীশ্বর রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশনগুলো প্ল্যাটফর্ম জুড়ে যাত্রীদের বসার জন্য বেঞ্চ রয়েছে। এক প্ল্যাটফর্ম থেকে আরেক প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ। এছাড়া গরু,ছাগল কিংবা বখাটেরা ঢুকতে না পারে সে জন্য রয়েছে লোহার শিকল দিয়ে টানা প্রাচীর।
তবে এর কোনোটিতেই থামে না ট্রেন, হয় না যাত্রী কিংবা মালামাল ওঠা-নামা।
প্রায় ১ যুগ আগেই লোকবল সংকটের কারণে স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেয় রেল বিভাগ। তবে এখানে রেলের এক টাকা আয় না হলেও প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে সরকারকে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরও নেই কোনও কার্যক্রম।
সম্প্রতি প্রায় দুশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এই তিনটি রেলস্টেশনকে অত্যাধুনিক করেছেন সরকার। বন্ধ থাকা এ তিনটি রেলস্টেশন এখন পরিনত হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রে।
রেল বিভাগ সূত্র জানা যায়, তিনটি স্টেশন নতুন করে তৈরি করা হয়নি। পুরনো স্টেশনকে সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। রেলকর্তৃপক্ষ এখনো এগুলো বুঝে নেয়নি। স্টেশনগুলো চালু হলে রেলে যাতায়াতের সুবিধা ভোগ করতে পারবে এ অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী।
ময়নামতি রেলস্টেশন কুমিল্লা শহরের পাশে এক কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত। কোন প্রয়োজন না থাকায় ১০ বছর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় এ স্টেশনটি।তবে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে সম্প্রতি এই রেল স্টেশনটিকে আবার ওহ অত্যাধুনিক করা হয়। কোটি কোটি টাকা খরচ করে রেলস্টেশন চালু না হাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কুমিল্লা রেলস্টেশনের স্টেশন মাষ্টার মাহাবুবুর রহমান বলেন, রেলওয়েতে জনবল সংকট রয়েছে। তাই স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। লোকবল নিয়োগ হলে আবার চালু হতে পারে। তিনটির মধ্যে একটিতে (লালমাই) শুধু সীমিত আকারে ট্রেন সিগনালের কার্যক্রম রয়েছে। বাকীগুলো লোকবল সংকট কাটিয়ে উঠলে পুরো দমে চালু করা হবে ।
কুমিল্লাজার্নাল.কম/জাহিদ
আপনার মতামত লিখুন :