কুমিল্লার যানজট নিরসনে যৌথ উদ্যোগ
সাকলাইন যোবায়ের।।
কুৃমিল্লা যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন নগরীর যানজটের কারণে দিশেহারা হয়ে উঠেছে নগরবাসী। নগরীর ভয়াবহ যানজট নিরসনে দফায় দফায় সমন্বিত বৈঠক করেছে কুমিল্লার স্থানীয় প্রশাসন। রোববার সকালে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে প্রথমে জানযট নিরসনের জন্য কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান,পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ( পিপিএম বার), কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ( কুসিক) মেয়র মোঃ মনিরুল হক সাক্কু,সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ সফিকুল ইসলাম, কোতওয়ালী থানার ওসি মোঃ সহিদুর রহমান, কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন,বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মোঃ আবু আশরাফ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পুলিশ কুমিল্লা,কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ( মটরযান), নেজারত ডেপুটি কালেক্টর। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিটি করপোরেশনের হলরুমে সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন সমস্যা সমূহ তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। যানজট নিরসনে বিভিন্ন প্রতাব তুলে ধরেন। ১) কুমিল্লার পুলিশ লাইন- ঝাউতলা,বাদিরতলা- কান্দির পাড়, রাজগঞ্জ – চকবাজার রাস্তার দুই পাশে অবৈধ দোকান,যানবাহনসহ অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করা,পূবালী চত্তর থেকে সালাউদ্দিন হোটেলের মোড়, পূবালী চত্তর থেকে মর্ডান স্কুল,কান্দির পাড় থেকে সার্কিট হাউজ,মোগলটুলি চৌমুহনী – রাজগঞ্জ দু পাশের ফুটপাতের সকল অবৈধ দোকান,স্থাপনা ও অন্যান্য স্থাপনা এবং সামগ্রী উচ্ছেদ করা হবে। কান্দির পাড়কে কেন্দ্র করে আশে পাশের সকল প্রধান সড়ক ও সড়কের দুই পাশে ফুট পাতের সকল অবৈধ দোকান, যানবাহন, স্থাপনা ও অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২) নগরীর সকল শপিং কমপ্লেক্স ও বহুতল মার্কেটের নিচতলায় পার্কিং থাকতে হবে। যে সব শপিং কমপ্লেক্স ও মার্কেটের নিচতলায় পার্কিং নেই বা নিচতলা অন্য মালামাল রাখার কাজে ব্যাবহার করা হয় সেগুলো খালি করে মালামাল জব্দ করে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য উন্মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন নিউ মার্কেট ও সিটি মার্কেটের বারান্দা ও সামনের দোকান সমূহ যেগুলো অবৈধ সেগুলো উচ্ছেদ করে যানজট নিরসনের জন্য ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। ৩) রাজগঞ্জ চৌমুহনীর শাপলার মোড় থেকে কান্দির পাড় ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত একমুখী ওয়ানওয়ে যান চলাচল করবে। কান্দির পাড় থেকে কোন যান বাহন সরাসরি রাজগঞ্জ শপলা মোড়ে আসতে পারবে না। ৪) ইউনিভার্সিটি বা স্কুল কলেজ এবং কোন সংস্থার বড় বড় বাসসমূহ কান্দির পাড় পূবালী চত্তরের মোড় সরাসরি অতিক্রম করতে পারবে তাদের অন্যত্র পার্কিং করতে হবে যেন ট্রাফিক জ্যাম কম হয়। ৫) অটো চলাচল সীমাবদ্ধ করতে হবে। অটো কোথাও দাড়াতে পারবে না। সারাক্ষণ চলাচল করবে। স্থায়ী ভাবে দাড়িয়ে ব্লক সৃষ্টি করতে পারবে না। ৬) উক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে ৩১ জানুয়ারী থেকে পহেলা ফোব্রুয়ারী পর্যন্ত মাইকিং করা হবে। ২ রা ফেব্রুয়ারী থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। ৭) কোন সংগঠন, যে কোন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বা সভা সমিতির অনুষ্ঠানের জন্য রাস্তার উপর গেইট বা তোরণ নির্মান করা যাবে না। ৮) সরকার নির্ধারিত ইজারাকৃত বাসস্ট্যান্ড ব্যাতিত অন্য কোথাও থেকে সিএনজি ও অটোরিকশা থেকে টোকেনের মাধ্যমে চাঁদা তোলা যাবে না। কারন এতে করে যানজটের সৃষ্টি হয়।যদি কাউকে চাঁদা উত্তোলন করতে দেখা যায় তাহলে চাঁদাবাজির মালামালসহ যে চাঁদা তুলবে তর প্রতি আইননানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. সফিকুল ইসলাম বলেন আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করবেন আপনাদের লেখনি ও পরামর্শের মাধ্যমে আমাদের সহযোগিতা করবেন। ছবি – সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম।
আপনার মতামত লিখুন :