রুবেল মজুমদার।
ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ঘিরে চলছে সব বয়সী মানুষের কেনাকাটা। একই সঙ্গে জমে উঠেছে নগরীর মসজিদ মার্কেটসহ আতর, টুপি দোকানগুলো।
আতর-টুপিতে ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। করোনার কারণে দুই বছর তেমন ব্যবসা করতে না পারলেও এবার সংকট কেটে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা।
শহরে বিশ্বরোড এলাকায়, কান্দিরপাড়, নিউমার্কেট, ক্যান্টনমেন্ট চিত্রা বাজার মার্কেটের আতর-টুপির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ভারত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও চীন থেকে আমদানি বিভিন্ন পণ্য। পাশাপাশি এখন দেশের উৎপাদিত সামগ্রীও পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা, রুচি ও পছন্দের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে রাখা হচ্ছে আতর, সুরমা, তসবি, জায়নামাজ, টুপির মতো জিনিসগুলো।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুইস, আহলান, কোবরা, ফারহান, গুলে-লালা, কস্তুরিসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের আতর বিক্রি হচ্ছে। আতরের মধ্যে আছে রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন সুগন্ধি। এসব সুগন্ধি মিলছে ১শ থেকে হাজার টাকার মধ্যে।
টুপির মধ্যে রয়েছে- ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত। জায়নামাজ পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের। তসবি রয়েছে ৫০ থেকে ৬০০ টাকার। এ ছাড়া দেখা যাচ্ছে হরেক রকমের সুরমাদানি। সুরমাসহ একসঙ্গে ২০০ থেকে হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের এই সামগ্রী।
কান্দিরপাড়ের মসজিদ মার্কেটের টুপির দোকানী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এখন কিছু মাল বিক্রি হচ্ছে। এতোদিন তেমন কাস্টমার ছিলো না। আর মাত্র দুইদিন বাকি আছে, তারপর আরো বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করছি। সবকিছুর দাম বাড়লেও আতর ও টুপির দাম তেমন বাড়েনি।
ক্যান্টনমেন্ট চিতাবাজার বিক্রেতা মামুন সরকার বলেন, বিভিন্ন ধরনের জায়নামাজ আছে। সাইজ ও প্রকারভেদে দামে ভিন্নতা রয়েছে। প্রতিটি বছর তো তেমন বিক্রি হয় না, কিন্তু রমজান আসলে একটু বেশি বেচাকেনা হয়। তবে যেমন আশা করছিলাম বিক্রি হবে তেমন বিক্রি নাই। আর মাত্র তিনদিন বাকি আছে ঈদের কিন্তু সেই তুলনায় বিক্রি কম।
কান্দিরপাড় এলাকায় টুপি ও আতর কিনতে আসা মধ্যবয়সী আমিন মিয়া বলেন, আতর ও টুপি কিনতে আসছি, গত কয়েক বছরে তুলনা এবার আতরের দাম অনেক বেশি। কাঁচা বেলির আতর কিনবো। আজ তো কদরের নামাজ শেষ করলাম তাই নাতিদের জন্য টুপিও কিনবো।
আপনার মতামত লিখুন :