সাহাব উদ্দিন অপি।।
রমজানের ইফতারে মুসলিমদের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ খেজুর। রমজানে প্রত্যেক মুসলিমের ঘরে ঘরে ইফতারে এ ফলের কোনো জুড়ি নেই।
এবারের রমজানের জনপ্রিয় খেজুরের তালিকায় শীর্ষে আছে মরিয়ম, আজুয়া ও সাফাবি। দামের দিক থেকে মেডজুল খেজুর শীর্ষে থাকলেও অধিক বিক্রি হওয়া খেজুরের তালিকা দখল করে আছে সর্বনিম্ন মূল্যের ফরিদা খেজুর।
সরেজমিনে কুমিল্লা চকবাজার পাইকারি ও খুচরা মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে নানা জাতের খেজুরের সমারোহ। তার মধ্যে ছিল প্রতি কার্টুন (৫ কেজি) মেডজুল খেজুর ৪৫০০ টাকা, মরিয়ম ২৮০০ টাকা, সাফাবি ও লুলু ১৮০০ টাকা, নাগাল ১৪০০ টাকা, আজুয়া ১৩০০ টাকা, মাশরুক প্লাস ওয়ান ৩২০০ টাকা, মাশরুক নরমাল ১১০০ টাকা, সায়ের ১০৫০ টাকা, জায়িদি ও ফরিদা ১০০০ টাকা।
খুচরা বাজারের তুলনায় পাইকারি বাজারে খেজুর বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুন। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খেজুর বাজারগুলো ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট থাকে। করোনার কারনে গত দু’বছর বেচাকেনা হ্রাস পেলেও পূর্বের তুলনায় এবার বেচাকেনা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি। অন্যদিকে স্টলে মানসম্মত খেজুর সাজিয়ে রেখেও ক্রেতার অভাব অনুভব করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
খেজুর কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, করোনার আগে খেজুরের দাম অনেক কম ছিল। পূর্বের মতো সল্প দামে খেজুর ক্রয় করা যাচ্ছে না। কম মূল্যের খেজুর কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত দামে।
পাইকারি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী নানান জাত ও দেশের খেজুর আমদানি করেছি। বেচাকেনা গত দু’বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে চড়া মূল্যে খেজুর কিনতে হচ্ছে বিধায় প্রতি কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে খেজুরের দাম। চাহিদা অনুযায়ী খেজুর এনেছি। অতিরিক্ত খেজুর মজুদ করিনি। ক্রেতা সমাগমও আলহামদুলিল্লাহ। আশা করি কয়েকটি রোযা গেলে দাম অনেকটা স্থিতিশীল হবে। দাম বাড়ার কোনো সম্ভবনা নেই। যে পরিমাণ খেজুর ছিল ইমপোর্ট করা তা প্রায় শেষ।।
সঠিক দামে ক্রয় করতে পারলে কমে আসবে খেজুরের দাম, এমনটাই দাবি বিক্রেতাদের।
আপনার মতামত লিখুন :