সাহাব উদ্দিন অপি।।
রমজানকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা নগরীর নিউমার্কেট, রাজাগঞ্জ ও চকবাজারে লেবু, শশা ও অন্যান্য তরু-তরকারির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গত রবিবার নগরীর উক্ত বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি হালি লেবুর দাম ১০০ টাকা, প্রতি কেজি দেশি শসা ৯০-১০০ টাকা, প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৯০-১০০ টাকা এবং ধনিয়াপাতা কেজি প্রতি ১৫০ টাকা।
রমজানের পূর্বে সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও রমজান উপলক্ষ্যে দাম বেড়েছে সবধরনের সবজির। অতিরিক্ত দামের কারনে চড়া দামে সবজি কিনছেন ক্রেতারা। চাহিদা অনুযায়ী সবজি কিনতে না পারলেও আপতত প্রয়োজন মেটাচ্ছেন তারা।
বাজার করতে আসা ক্রেতা ফাহিম বলেন, তরকারি আমাদের খাদ্যতালিকার অন্যতম প্রধান খাদ্য। দাম বাড়লেও কিনতে হবে। করোনার কারনে আর্থিক অনটনে ভুগছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়লে না খেয়ে মারা যেতে হবে। সরকারের উচিৎ গুপ্তচরদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া, যাতে প্রয়োজনীয় খাদ্য ক্রয়ে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে না হয়।
সবজি বিক্রেতা কামরুল মিয়া বলেন, রমজানের কারনে চড়া দামে সবজি কিনতে হচ্ছে বলেই এমন বৈসাদৃশ্য দেখা দিয়েছে। তবে কয়েকদিন গেলে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে। রমজানে সবজির দাম বাড়ায় ভালো বিক্রি হওয়া সত্ত্বেও লাভবান হতে পারছে না সবজি বিক্রেতারা।
সবজির দাম বাড়লেও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে মাংসের দাম। মুরগীর দোকানে রমজানের আগের দিন বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। যেখানে রমজানের পূর্বে বিক্রি হতো ১৫-২০ হাজার টাকা। অন্যদিকে ক্রেতা কম পাওয়ায় গরু ও খাসির মাংস বিক্রেতারা সংকট ও দুশ্চিন্তায় ভুগছে। রমজানে হাসি ফুটেছে দুধ বিক্রেতাদের মুখেও। রমজান উপলক্ষে প্রতি কেজি দুধ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা যা পূর্বে ছিল ৬০-৭০ টাকা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
আপনার মতামত লিখুন :