রুবেল মজুমদার ।।
অর্ধেকের ও জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম। যেখানে ১৪ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করা কথা। সেখানে মাত্র সাত জন দিয়ে চলছে অধিদপ্তরের কার্যক্রম।
জেলা কার্যালয়ের অপর্যাপ্ত লোকবল দিয়েই চলছে ১৭টি উপজেলার কার্যক্রম। ফলে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে বেগ পেতে হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দূষণ জরিপ, সেগুলো চিহ্নিতকরণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ,পরিবেশ দূষণকারীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়, শিল্প-কারখানা স্থাপনের ছাড়পত্র দেওয়া, নবায়ন, পরিবেশ দূষণ নিয়ে অভিযোগ গ্রহণ,তদন্ত করে নিষ্পত্তি, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করাসহ নানামুখী কাজ আসছে কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তর।লোকবল সংকটে পরিবেশ সংরক্ষণে এ কার্যালয়ের নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলা পর্যায়ের অধিদপ্তরের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৪ টি,এর বিপরীতে কুমিল্লায় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৭ জন কর্মকর্তা। একজন করে উপ পরিচালক,রিসার্চ অফিসার,পরিদর্শক,ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট,কম কম্পিউটার ড্রাইভার, হিসাবরক্ষক,থাকলেও,নেই ৩ জন ইন্সপেক্টর,২ অফিস সহায়ক,২নমুনা সংগ্রহকারী করে ।
নগরীর আদালত রোডস্থ সড়কে স্থায়ী কার্যালয় থাকলেও নেই পরিবহন ব্যবস্থা।
এছাড়া ল্যাব না থাকার কারণে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে কিংবা শিল্প কলকারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র দিতে বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রামে।
এদিকে নিজস্ব পরিবহন না থাকায় জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শনে কিংবা দাফতরিক কাজে কর্মকর্তাদের ব্যবহার করতে হয় ভাড়া বাহন। এতে করে অনেক ক্ষেত্রে সময় নষ্ট, অধিক অর্থ ব্যয়সহ নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, কার্যালয়ে লোকবল সংকটের কারণে বিভিন্ন সময়ে কাজ ব্যহত হচ্ছে। সেই সাথে আমাদের পরিবেশ আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা দায়েরসহ নানা কাজে বিঘ্নতা ঘটে।তবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভাগীয় অধিদপ্তরে জনবল চেয়ে চিঠি পাঠাবো।পর্যাপ্ত জনবল পেলে আরও সুন্দর পরিসরে এ অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষার কাজ করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।
এ বিষয় জানতে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মফিদুল আলম বলেন,আমরা মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানিয়েছে।জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।আগামী অর্থ বছরের মাঝে জনবল সংকটের সমস্যা সমাধান হবে।
আপনার মতামত লিখুন :