বিপিএলের ঢাকা পর্বে দুই ম্যাচেও জয়ের মুখ দেখেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। এবার ঘরের মাঠে খেলতে নেমে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলটি আরও বাজে পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে চলতি আসরের সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জায় পড়েছে সিলেট। যদিও কুমিল্লার সংগ্রহ ছিল ‘মামুলী’ পর্যায়ের। ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সিলেট মাত্র ৭৮ রানেই গুটিয়ে গেলো।
এ নিয়ে চলতি আসরের তিনটি ম্যাচেই তিক্ত হারের স্বাদ পেয়েছে মাশরাফির দল। অন্যদিকে নিজেদের টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো কুমিল্লা। হার দিয়ে আসর শুরু করা লিটন দাসের দল আজ ৫২ রানের বড় জয় পেয়েছে। যেখানে মূল ভূমিকা রাখা স্পিনার আল ইসলাম ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ ৪ উইকেট নিয়েছেন। বিনিময়ে দিয়েছেন মাত্র ১৭ রান।
ধারণা করা হয়েছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তুলনামূলক বেশি রানের ম্যাচ উপহার দেবে বিপিএল। তার কিছুটা আভাস দিনের প্রথম ম্যাচে মিলেছিল। রাতে দেখা গেল মিরপুরের মতো এই ভেন্যুতেও আরেকটি লো স্কোরিং ম্যাচ। কুমিল্লার নেওয়া ১৩১ রানের জবাবে সিলেটের শুরুটাই ছিল তালগোল পাকানো। প্রথম ওভারে ১ রান সংগ্রহের পর, দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউট মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়েছে সিলেট
মিঠুনের বিদায়ের একই ওভারে আল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন নাজমুল হোসেন শান্ত। চলতি বিপিএলে রানের জন্য সংগ্রাম করতে থাকা তারকা ওপেনার ফেরেন মাত্র ৫ করে। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হয়েছেন— সামিত প্যাটেল (৪), ইয়াসির আলী (১), বেন কাটিং (১) ও মাশরাফি (০)। দলীয় ২৮ রানেই তারা ৬ উইকেট হারিয়ে তারা গভীর খাদে পড়ে যায়। একপর্যায়ে বিপিএলের সর্বনিম্ন রানে অলআউটেরও শঙ্কা জেগেছিল সিলেটের।
তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মান বাঁচিয়েছেন জাকির হাসান। সতীর্থদের নিয়মিত আসা-যাওয়ার মিছিলে তিনি কিছুটা সময় একপ্রান্ত আগলে রাখেন। ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন জাকির। এছাড়া সিলেটের হয়ে কেবল আর একজন (রায়ান বার্ল) দুই অঙ্কের ঘর পৌঁছুতে পেরেছেন। এই জিম্বাবুইয়ানে ব্যাটে আসে ১৪ রান।
কুমিল্লার হয়ে আল ইসলাম ছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন রোস্টন চেজ। এছাড়া একটি করে শিকার ধরে ম্যাথু ফোর্ড, তানভীর ইসলাম ও খুশদিল শাহ।
এর আগে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি। শুরুতে বল করে তারা লিটন দাসের দলকে ১৩১ রানের ছোট গণ্ডিতে আটকে দেয়। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে ইমরুল কায়েসের ব্যাটে। এছাড়া খুশদিল শাহ ৩১ ও জাকের আলী ২১ রান করেন। অন্যদিকে, সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন সামিত প্যাটেল।
আপনার মতামত লিখুন :