স্টাফ রিপোর্টার।
মহান একুশের চেতনাকে ধারন করা চলমান একটি অনুষ্ঠানের নাম তিননদী পরিষদ। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় ২১ দিন ব্যাপী এমন আয়োজন সত্যিই বিরল। ৩৯ বছর যাবৎ বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চা করে যাচ্ছে তিননদী পরিষদ। এটি ঢাকার বাইরে একমাত্র পরিষদ যা ১৯৮৪-বর্তমান অবধি চলমান।
শুক্রবার ১১ই ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় কুমিল্লা নগর উদ্যানের জামতলায় অনুষ্ঠিত হয় তিননদী পরিষদ কুমিল্লার একাদশতম দিনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ডক্টর নিজামুল করিম, প্রফেসর পরিমল কান্তিপাল, আবুল হাসনাত বাবুল, তপন সেন গুপ্তপ্রমুখ।
আমরা সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়েছি, যার ফলে দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসার পরিমাণ খুবই কম। আমাদের উচিৎ সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে তাদেরকে দেশের প্রতি আগ্রহী করে তুলা। ৬০ ভাগ তরুণ প্রজন্ম যাদের বয়স ২০ এর নিচে। যাদেরকে গড়ে তুলার দায়িত্ব আপনাদের। গতকাল শুক্রবার তিননদী পরিষদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন, নাএমের প্রধান পরিচালক প্রফেসর ডক্টর নিজামুল করিম।
বিশেষ অতিথি কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর পরিমল কান্তিপাল বলেন, তিননদী পরিষদ সত্যিই একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান, যা গত চার যুগ ধরে এখনও চলমান। আমার জানা মতে তিননদী পরিষদ বাংলাদেশের একমাত্র পরিষদ যা বাংলা ভাষার ঐতিহ্য রক্ষার্থে সংস্কৃতি চর্চা করে যাচ্ছে। বক্তব্য শেষে তিনি নিজের লিখা কবিতা পাঠ করার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেন।
সভাপতি হিসেবে ছিলেন, আবুল হাসনাত বাবুল, সাবেক সভাপতি কুমিল্লা প্রেস ক্লাব। যার পরিশ্রম, মেধা ও ভালোবাসার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে তিননদী পরিষদ, কুমিল্লা। তিনি বলেন, আমি চাই সবাই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় সবাই অংশ নিবে। নতুন প্রজন্মকে জানতে ও বুঝতে হবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির গুরুত্ব। আমরা সেই কুমিল্লার সন্তান যেই কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত নামের একজন ব্যক্তি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য দাবি জানিয়েছিল। যার অবদানের কারনে আমরা বাংলা ভাষার মাধ্যমে কথা বলছি।
শুভেচ্ছায় তপন সেন গুপ্ত বলেন, আজ তিননদী পরিষদের একাদশতম দিন। তিননদী পরিষদ কুমিল্লার জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি প্রয়োজন। আমি গর্বিত ৩৯ বছর ধরে চলমান এমন একটা অনুষ্ঠানে এক টানা দেখতে পাচ্ছি। ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার জায়গা থেকে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন সত্যিই বিরল।
অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আপনার মতামত লিখুন :