গাজী মামুন: লালমাই, কুমিল্লা।
ষাটোর্ধ জয়নাল আবেদীন হাজারী ৭১’ এর একজন সহযোদ্ধা। বাঙালি জাতির স্বাধীকার আদায়ের আন্দোলনে দেশ রক্ষায় সহযোদ্ধা হিসেবে সেদিন মুক্তিবাহিনীদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনিও।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান স্বরূপ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পূনর্বাসন সোসাইটি কর্তৃক সহযোদ্ধা সনদ, শেরে বাংলা সম্মাননা সহ বহু পদকে ভূষিত এই জয়নাল আবেদীন জন্মগ্রহণ করেন কুমিল্লা লালমাই উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে। তাঁর পিতা মৃত হাসমত আলী হাজারী। বর্তমানে তিনি লালমাই উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক।
সদালাপী ও সদা হাস্যোজ্জ্বল জয়নাল আবেদীন হাজারী ধীরচিন্তার অধিকারী একজন মানুষ হিসেবে নিজের শ্রম, ত্যাগ ও ইচ্ছাশক্তির সমন্বয়ে এলাকার অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যেই তিনি উদ্যোগ নিয়ে এলাকার যুবক-যুবমহিলাদের’কে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গাভী পালন প্রশিক্ষণ, সেলাই কাজের প্রশিক্ষণ শেষে মৎস্যচাষীদের জন্য মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। এছাড়াও নিজ অর্থায়নে এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকে করোনাকালীন সময়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদ সামগ্রী প্রদান, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও পঙ্গু লোকদের ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতার পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন ভাতা পেতে সহযোগিতা প্রদান করেন তিনি।
তাঁর নিজ জন্মস্থান জয়নগর গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে নতুন নতুন উদ্যোগের কারণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এ প্রয়াস সব মহলেই ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে জয়নাল আবেদীন হাজারী বলেন, “আল্লাহপাক আমাকে অর্থনৈতিকভাবে সবল এবং ভালো রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। সেজন্য আমি চাই আমার গ্রামের একটি লোকও যেন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে না থাকে। তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে আমার এই চেষ্টা। সবার দোয়া চাই।”
আপনার মতামত লিখুন :