স্টাফ রিপোর্টার ।।
কুমিল্লার বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে সেই অস্ত্র দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে এয়াকুব (৩৭) নামের এক চিহ্নিত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। চাঁদা না দেয়ায় অস্ত্রের মুখে তুলে নেয়ার হুমকি এবং একাধিক বাড়ীঘর ভাঙচুর করে সে। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে জানান তারা।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
অভিযুক্ত এয়াকুব কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের জয়মঙ্গলপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে মাদক এবং অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৭ টি অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। মাদক এবং অস্ত্রসহ র্যাব, পুলিশের কাছে একাধিকবার আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেলে ছিল সে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দীন বাহারের অনুসারী হলেও বর্তমানে নিজ এলাকায় যুবদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে সে। যুবদল নেতা পরিচয়ে দেদারসে চালাচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম। দখল করছে অন্যের জমি।
স্থানীয় জয়মঙ্গলপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আল জামান সবুজ বলেন, আমি দীর্ঘদিনযাবত প্রবাসে অবস্থান করছি। গেল কয়েকদিন আমার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে এয়াকুব। তার নেতৃত্বে ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী আমার বাড়ীঘরে হামলা করেছে। অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা শোহেবুর রহমান বলেন, এতদিন কুমিল্লা শহরের আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিতো সে। এখন সে বিএনপি নেতা দাবি করছে। তার কাছে অনেক অস্ত্র রয়েছে। সে নাকি এসব অস্ত্র থানা থেকে লুট করে এনেছে। আমরা এলাকাবাসী এয়াকুব এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আতংকে আছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী বলেন, গত কয়েকদিনে সে এলাকার বেশকয়েকজনের জমি দখল করেছে। চাঁদা না দেয়ায় সনাতনধর্মের এক ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর ও লুট করে নিয়ে গেছে। চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়মিত পুলিশ না থাকায় তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়েই চলেছে।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। জেলা ডিবি পুলিশের টিম তদন্তে নেমেছে। ইতোমধ্যে যৌথবাহিনী কাজ শুরু করে দিয়েছে। খুব শীগ্রই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :