রুবেল মজুমদার।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচন প্রতীক বরাদ্দের একদিন পর গণসংযোগ করেছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার। নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে ও দোয়া নিতে যাওয়ায় তার পক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও ভোটাদের কাছে ভোট চান বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। নৌকা প্রতীকের পক্ষে নগরী স্টেশন রোড এলাকায় গণসংযোগ করেন কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামসহ দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া দুপুরে আদর্শ সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহমেদ নিয়াজ পাভেলের নেতৃত্বে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় গণসংযোগ করেন নেতাকর্মীরা।
মুঠোফোনে আরফানুল হক রিফাত বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দোয়া নিতে ঢাকা যাচ্ছি। নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। ঢাকা থেকে এসে স্ব-শরীরে প্রচারণা শুরু করবো।
এদিকে সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত নগরীর গোপালপট্টি, কাপড়িয়াপট্টি, কাশারীপট্টি ও চকবাজার বাসস্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন দোকান পাটের ব্যাবসায়ীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন এবং বাসা বাড়িতেও প্রচারণা চালান।
সাবেক মেয়র সাক্কু আভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে নির্বাচনের প্রচারের কাজে ব্যবহৃত দুটি মাইক ভেঙ্গে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। কুমিল্লা নগরীর চকবাজার, কাশারীপট্টি, কাপড়িয়াপট্টি, ছাতিপট্টি এবং রাজগঞ্জ পর্যন্ত সাবেক মেয়র সাক্কুর টেবিল ঘড়ি প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন মনিরুল হক সাক্কু। সাক্কু বলেন, আমরা কর্মী দিয়ে নগরীর চকবাজার থেকে রাজগঞ্জ পর্যন্ত দড়ি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে পোস্টার টানাই। কিন্তু শনিবার সকালে কে বা কারা মোটর সাইকেলে এসে আমার ঘড়ি প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমতিয়াজ বলেন, চিকন মুলি বাঁশের আগায় কাঁচি বেঁধে দড়ি দিয়ে লাগানো পোস্টার কেটে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। তিনি সিসি টিভি ফুটেজের মাধ্যমে দোষীদের সনাক্ত করার আবেদন জানান প্রশাসনের কাছে।
এদিকে শনিবার সকাল ১১ টা থেকে নিজাম উদ্দিন কায়সার নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর বাদুরতলা থেকে চকবাজার হয়ে শহরে বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান। এছাড়া বিকালে কোটবাড়ি এলাকায় জনসভা করেন। নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, নির্বাচন মাঠে আমার পক্ষে গণ জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে শহরে তরুণ সমাজের সাড়া পাচ্ছি বেশি, ভোটাররা আমাকে আশ্বাস দিচ্ছে। আশা করি ১৫ জুন ঘোড়ার জয় হবে।
কুসিক নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নগরীতে ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। এছাড়া সমগ্র সিটিতে ২১টি পুলিশের মোবাইল টিম আগামী ৭জুন পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে নিযুক্ত আছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন কুসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এ সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। নির্বাচনে কাউন্সিল পদে লড়বেন ১০৬ জন, সংক্ষিত পদে লড়ছেন ৩৬ জন।
আপনার মতামত লিখুন :