হোসাইন মোহাম্মদ দিদার :
কখনো কখনো সৃষ্টির মুখে হাসি ফুটালে সেই হাসিতে হাসে বিধাতাও স্বয়ং,আবার কখনো কখনো সৃষ্টির চোখ কান্নায় ভেজলে , বেদনার অভিশপ্ত অস্র ঝড়ে স্রস্টার চোখেও।
কেউ কেউ বলতে পারেন স্রস্টার কী চোখ,মুখ আছে নাকি?
তাদের জন্য আমার উত্তর, না স্রস্টা নিরাকার!
এতোটুকুতেই সীমাবদ্ধ, বলছি না বেশি।
কারণ যারা বলবেন আমি ভুল বলছি,তারা আমাকে ক্ষমা করবেন।
আমি স্রস্টার অস্তিত্ব নিয়ে যদি ভুল করে থাকি,ভুল সংজ্ঞায়িত করে থাকি সেটা আমার আর আমার প্রভুর একান্ত বিষয়।
আমি যদি ভুল করি তিনি আমার বিচার করবেন,আমি সেই বিচার মাথানত করে মেনে নিব।
এই যে রমজান মাস চলছে। কতো মানুষ ধুমধাম খাবার খাচ্ছে, সুস্বাদু সব মুখরোচক খাবার।
কেউ আবার কোনো রকম সেহরির ও ইফতার সম্পাদন করছেন।
কারো অঢেল ধনসম্পদ আছে, অসহায় মানুষের নিরন্ন থাকার বোবা কান্না তাদের কানে পৌঁছে না,কারো মন আছে— এসব মানুষের চোখে নিরন্ন মানুষের নিরব কান্না হৃদয়ে আঘাত করে।
ঐসব অসহায় মানুষের সাহায্যে যারা দিনরাত নিজের ভালোমন্দ বিচার না করে ছুটে চলছেন নিরন্তর তারাই স্রস্টার স্বর্গীয় দূততুল্য।
এরা মানুষের সুখ,দুখ বুঝে।সুখে দুঃখে মানুষের পাশে থাকে,বিপর্যয়ে ও দুর্যোগের ঘনকালো মুহূর্তে এরা মানুষের বিপদে প্রতিরোধের প্রাচীর হয়ে পাশে দাঁড়ায়।
এরা কারা? এরাই সমাজ ও রাষ্ট্রের আসোল হিরো,মানবতার ফেরিওয়ালা ওরা।
এরা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়। আমি দেখেছি,
রমজানের প্রথমদিন থেকেই অসহায় দুস্ত ও অভাবগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন আর্তমানবিক সংগঠন। আবার কেউ প্রবাস থেকেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের মুখে হাসি ফুটাচ্ছেন।
সারাদেশে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী পণ্যসামগ্রী নিয়ে ছুটছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।
করোনার প্রবল শক্তিশালী ছোবলের ভয়ার্ত পরিস্থিতির মাঝেও তারা নিজেকে মানুষের জন্য বিসর্জন দিয়েছেন।
পুলিশ, ডাক্তার, সাংবাদিক, বিভিন্ন মানবিক সংগঠনের বন্ধুগণ যথাযথ ভূমিকা রেখে এক কালো আঁধারের পথকে আলোকিত করেছেন।
বলছি বন্ধু জিয়াউল হক জিয়ার কথা। দাউদকান্দি পৌরসভার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসি এই মানবতার ফেরিওয়ালা পর্দার আড়ালে থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাধ্যমত চেষ্টা করে চলছেন।
করোনাকালীন সময়ে নিজে দেশে এসে দুহাত উজাড় করে মানুষের জন্য সহযোগিতা করেছেন।
যেকোনো দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে জিয়ার মন কেঁদে ওঠে মানুষের অসহায়ত্ব দেখে।
এই রমজানেও যখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষজন দিশেহারা।
ঠিক সেই মুহূর্তে অনেকগুলো অসহায় মানুষের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
হতে পারে এ সমাজের হাজারো যুবকের অনুপ্রেরণা প্রবাসী এই যুবক ৯৭/৯৯ বন্ধু জিয়াউল হক জিয়া।
আপনার মতামত লিখুন :