
মুরাদনগর প্রতিনিধি।
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রার্থিতা যাচাই বাছাইয়ে ‘বাতিলের ভয়’ দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পায়। পরে কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম ঘটনস্থলে এসে এর সত্যতা পায়।
নির্বাচন পরিচালনা-২ এর অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ওই প্রত্যাহার আদেশ দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, বিল্লাল মেহেদীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার স্থলে বরুড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম ।
তিনি আরো বলেন,আমরা বিষয়টি সত্যতা খুঁজে পেয়েছি,প্রাথমিকভাবে জেলা নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানকে বুধবার (১২ জানুয়ারি) (স্মারক নং ১৭.০০.০০০০.০৭৯.৪১.০৫২.২১-৩৭) অভিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদীকে প্রত্যাহার করেন।
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রার্থীতা যাচাই বাছাইয়ে বাতিলের ভয় দেখিয়ে এক রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম ঘটনস্থল মুরাদনগরে এসে সত্যতা পায়।
ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচনে মুরাদনগর উপজেলায় ৩১ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে। গত ৬ জানুয়ারি ছিল প্রার্থীতা যাচাই-বাছাইয়ের দিন। প্রার্থিতা বাছাইয়ের জন্য উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বিপরীতে সাতটি বুথ তৈরি করা হয়। সেই সুবাদে হোমনা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিল্লাল মেহেদী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলার যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও বাঙ্গরা পশ্চিম- এই ৩টি ইউনিয়নের। সে সময় তিনি প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ে বাতিলের ভয় দেখিয়ে প্রার্থীপ্রতি ৫০০-১০০০ টাকা আদায় করেন।
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :