সাইমুম ইসলাম অপি.
প্রতিটি মানুষের জন্ম তার স্বজাতির জন্য বড় সুসংবাদ বয়ে আনে। কিন্তু ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের সুসন্তানদের জন্য বয়ে এনেছিল এক কালো অধ্যায়। আকস্মিক আক্রমণে আমরা আমাদের জাতির বীরসন্তানদের হারিয়েছি। এই মানব সন্তানগুলো অজানা ইতিহাস গড়ার মূল কারিগরের ভূমিকা পালন করে।
১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। মধ্য রাতের পর এদেশের ঘুমন্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপর আচমকা এক আক্রমণ চালায় তৎকালীন পাক-হানাদার বাহিনী। সেদিন এদেশের গুণীজনেরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে জন্ম দেয় নতুন এক ইতিহাস। তাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবে না।
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর পাক-হানাদার বাহিনী যখন বুঝতে পারে, তাদের পরাজয় অনিবার্য হয়ে পরেছে। তখন এক বিব্রতকর ফন্দি আঁটে তারা। নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায় এ দেশের বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিবর্গের উপর।
সেদিনের আক্রমণে আমাদের থেকে বিদায় নেয় বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়। তাদের হারিয়ে জাতি অত্যন্ত ব্যথিত, ভারাক্রান্ত এবং শোকাহত। এই শোককে জাতি রুপান্তর করেছে শক্তি, সাহস ও আত্মবিশ্বাসে। যা এ জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। কালের পরিক্রমায় মানব সন্তানদের প্রতিভা লুকিয়ে জন সম্মুখে প্রকাশ পায়।
যুগে যুগে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে অনেক বিশিষ্টজনেরা। যারা মানুষকে সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়েছে এবং সচেতন করে তুলেছে। নিরস্ত্র ব্যক্তিদের কেবল ছিল লেখনী শক্তি ও বজ্রকন্ঠ। এই হাতিয়ার দিয়ে তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও অত্যাচারী স্বৈরশাসকদের দাবিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। যা ছিল গোলাবারুদ ও অস্ত্র থেকেও ভয়ংকর।
যেসকল বিশিষ্টজনেরা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্যভূমি পরিদর্শন করার পাশাপাশি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা দরকার। স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্যভূমি রক্ষণাবেক্ষণ করার পাশাপাশি কোনো অব্যবস্থাপনা থাকলে নিজ দায়িত্বে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার মাধ্যমে তা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। এই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকল বিশিষ্টজনের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা
আপনার মতামত লিখুন :