নোয়াখালী প্রতিনিধি।।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে এমভি বাহার নামে লবণবোঝাই ট্রলার ডুবে গেছে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের মৌলভী চরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রলারে থাকা সাত মাঝিমাল্লাকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তাদের সবার বাড়ি কুতুবদিয়া উপজেলায়।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রলারের নাবিক আতিকুল ইসলাম জানান, তারা ৬০০ মণ লবণ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঝালকাঠি যাচ্ছিলেন। হাতিয়ার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মেঘনার ডুবো চরে আটকে যায় ট্রলারটি। এ সময় জোয়ারের তোড়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। ট্রলারে থাকা সাত মাঝিমাল্লা নদীতে ভাসতে থাকে। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার দৃশ্য হাতিয়ার নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাটে চলাচলকারী সি-ট্রাকের লোকজন দেখে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘাট থেকে যাত্রীবাহী স্পিডবোট গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভাসমান অবস্থায় সাত মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করে চেয়ারম্যান ঘাটে নিয়ে আসে।
ট্রলারের মাঝি মো. বাদশা বলেন, ট্রলারটি জোয়ারের তোড়ে উল্টে গেলে সবাই যে যার মতো ভাসমান জিনিসপত্র নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। এক পর্যায়ে ভাসতে ভাসতে নদীর উত্তর দিকে চলে গেলে স্পিডবোট এসে তাদের উদ্ধার করে। তবে ট্রলারটি জোয়ারের তোড়ে সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ায় তা আর উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, ‘ট্রলারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পরপরই সি-ট্রাকের মাস্টার মোবাইলে আমাকে বিষয়টি জানান। পরে স্থানীয়ভাবে স্পিডবোট পাঠিয়ে মাঝিমাল্লাদের উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মাঝিমাল্লাদের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে। তারা সবাই সুস্থ আছে। তাদের মধ্যে কেউ নিখোঁজ নেই।’
রুবেল মজুমদার /জার্নাল
আপনার মতামত লিখুন :