নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
দুনীর্তির অভিযোগ করায় শিক্ষক ক্লাবকে অস্তিত্বহীন বলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ। সাম্প্রতি কলেজের অনিয়মের বিষয়ে ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে দুদকে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক ক্লাব। এ বিষয়ে ‘ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষসহ সাত জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ’ শিরোনামে গত ৩ জুন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং পরে অন্যান্য জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়।
৩ জুনের সংবাদের পর ৯ জুন রোববার কলেজ প্রশাসন কুমিল্লার স্থানীয় একটি পত্রিকায় ‘দুনীর্তির কারণে ঐতিহ্য হারাচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ’ শীর্ষক প্রতিবাদ বিজ্ঞাপন প্রচার করে।
লিখিত বক্তব্যে কলেজ কতৃপক্ষ বলেন, অস্তিত্বহীন শিক্ষক ক্লাব। অথচ ২০১৪ সালের ১৬ জুন এ শিক্ষক ক্লাবের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির নামের তালিকায় ১৩ শিক্ষকের নাম দেখা যায়। সে সময়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আছাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত একাদশ ভাগে রয়েছে বর্তমান অধ্যক্ষের নাম। রসায়ন বিভাগের তৎকালীন অধ্যাপক মোঃ আবুল হাসেম মহোদয়কে আহ্বায়ক করা হয়। আহ্বায়কের নামের পরেই সিরিয়াল ভাবে ২ নম্বরে আছে বর্তমান অধ্যক্ষ ও তৎকালীন গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু জাফর খানের নাম। সর্বশেষ রয়েছে সে সময়ের শিক্ষক পরিষদ যুগ্ম সম্পাদক নিলুফার সুলতানার নাম।
শিক্ষক ক্লাবকে অস্তিত্বহীন বলার বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সোমবার (১০ জুন) মুঠোপোনে প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, কুমিল্ল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষক সমিতি আছে। শিক্ষক ক্লাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক ক্লাব এক সময় ছিল এখন আর তা নেই ।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষক ক্লাবের একজন শিক্ষক বলেন,শিক্ষক ক্লাবের অস্তিত্ব যদি না থাকে তাহলে আমরা ঢাকায় দুদকের প্রধান কর্যালয়ে অভিযোগ করলাম কিভবে? এবং এটি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইনের বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আছাদুজ্জামান বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষককে দুটি সংগঠন রয়েছে একটি হল শিক্ষক সমিতি অপরটি হল শিক্ষক ক্লাব।প্রফেসর ডক্টর এ কে এম আসাদুজ্জামান আরো বলেন আমি যখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অতঃপর ছিলাম তখন কলেজের সব কাজ সুন্দর ভাবে চালিয়ে গেছে কোনদিনও দুই টাকা ভাউচার দিয়ে আমি দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা সরকারি কলেজ এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলাম আমি শখ থাকলে আমার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারবে না অন্যায় করলে তো ধরা খাবেই। শিক্ষক ক্লাব এ বিষয়ে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তখন আমি অধ্যক্ষ ছিলাম। শিক্ষক সমিতি নামে শিক্ষকদের একটি সংগঠন ছিল।
কুমিল্লা দুদকের সহকারী পরিচালক রাফী মোঃ নাজমুল সাদাৎ রোববার মুঠোফোনে জানান, কারো বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করলে পত্রিকায় প্রতিবাদ দিতেই পারে। আবার অনেকে প্রতিবাদ দেয় না কারণ তারা মবে করেন আমি এ অপরাধে জড়িত না তাহলে আমার প্রতিবাদ দেয়ার কি আছে।
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :