অফিস ডেস্ক।।
প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে লাশ হলেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ছোট ফতেপুর গ্রামের হাফেজ নেছার উদ্দিনের মেয়ে তাসফিয়া আক্তার (১৫)। তাসফিয়া নাঙ্গলকোট বেগম জামিলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
শনিবার রাতে তাসফিয়াকে তার প্রেমিক আরমান হোসেন বিয়ের প্রলোভনে ঘর থেকে বের করে নাঙ্গলকোট বাজারে এনে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে স্থানীয়রা মেয়েটিকে বাজারে একা ঘুরতে দেখে বাড়িতে পৌঁছে দেয় বলে দাবী তার মামা মাওলানা ওমর ফারুকের। প্রেমিকের প্রতারণার কারণে তাসফিয়া সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী স্থানীয়দের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাওলানা নেছার উদ্দিন ৩ কন্যা সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ে তাসফিয়া আক্তার নাঙ্গলকোট বেগম জামিলা উচ্চ বিদালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। তাসফিয়ার সাথে পাশ্ববর্তী কেন্দ্রা গ্রামের আবুল খায়ের লাকির নাতি আরমান হোসেন (১৭) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আরমান হোসেন নাঙ্গলকোট আরিফুর রহমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছে। সে একই উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের ভুলুয়া পাড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে।
আরমান তার নানা বাড়িতে থেকে পড়া লেখা করতো। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরমান তাসফিয়াকে ফোন দিয়ে বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে নাঙ্গলকোট বাজারে নিয়ে এসে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এসময় স্থানীয়রা তাসফিয়াকে নাঙ্গলকোট বাজারে একা পেয়ে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনার জেরে তাসফিয়া সোমবার বিকেলে ঘরের দরজা লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে বলে দাবী তাসফিরার স্বজনদের।
তাসফিয়ার মামা মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, আমার ভাগনিকে ফুসলিয়ে আরমান প্রেমের সম্পর্ক করে গভীর রাতে ঘর থেকে বের করে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়ায় মেয়েটি এভাবে জীবন দিয়ে দিয়েছে। আমি চাই তাসফিয়ার মত যেন এ ছেলে আর কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করতে না পারে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :