• ঢাকা
  • বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০২৪
Designed by Nagorikit.com

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আত্মাহত্যা! 

কুমিল্লা জার্নাল
[sharethis-inline-buttons]

স্টাফ রিপোর্টার।।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘ আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী ―এমন স্ট্যাটাস দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরোজ অবন্তিকা (২৫) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।

 

শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লার নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজ বাসায় ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। নিহত অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মৃত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।

 

মৃত নিশ্চিত করেন কুমিল্লা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ জোবায়ের বলেন,রাত ১১ টায় স্বজনরা অবন্তিকাকে মৃত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে,আমার কাছে যখন নিয়ে আসা হয় তখন অবন্তিকা নিথর ছিলো,ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

 

এদিকে অভিযুক্ত নিহত ফাইরোজ অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে,তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, সদর হাসপাতালে আমার টিম রয়েছে,বিস্তারিত জেনে আপনাদের জানাবো ।

 

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যার পূর্বে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

 

ফাইরোজ অবন্তিকা ফেজবুক টামলাইনে দেওয়া পোষ্টটি অনুলিপি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল ,আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ” খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে? ”

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিকাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সো কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না

আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।

 

আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার।

 

আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।

 

রাতে মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে জবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে পরে শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক দ্ব্বীন ইসলামকে সহকারী প্রক্টর থেকে অব্যহতি এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • কুমিল্লা এর আরও খবর