• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১ জুন, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ১১ জুন, ২০২৪
Designed by Nagorikit.com

বদলির আদেশ হলেও চেয়ার ছাড়েনি ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়া

কুমিল্লা জার্নাল
[sharethis-inline-buttons]

স্টাফ রিপোর্টার||

বদলির আদেশ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দায়িত্ব হস্তান্তর ও কর্মস্থল ত্যাগ করেননি কুমিল্লা ট্রাফিক ইনচার্জ জিয়াউল চৌধুরী টিপু।

 

 

কবে নাগাদ তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। বদলীর আদেশে ৬ জুনের মধ্যে কর্মস্থল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। আদেশনামায় আরো বলা হয়েছে ৭ জুনের মধ্যে কর্মস্থল ত্যাগ না করলে তাৎক্ষণিক স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য হবেন। কিন্তু, এই আদেশনামা’কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে এখনো নিয়মিত পূর্বের কর্মস্থলেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ইন্সপেক্টর জিয়া।

 

 

 

গত ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা (বিপিএম বার) এর স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের মাধ্যমে তাকে কক্সবাজার জেলায় বদলী করা হয়।

 

 

এর পরেও কোন ক্ষমতাবলে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন কেনইবা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছেনা। বিভিন্ন অজুহাতে বদলিকৃত পদে বহাল থাকার কোন বিধান আছে কিনা এমন প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।

 

 

এর আগে ২৮ মে  কুমিল্লার ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জিয়াউল চৌধুরী টিপু ও তার স্ত্রী ফারজানা হোসেন রিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

 

এর কয়েকদিন আগে গত ২৪ মে গভীর রাতে জিয়াউল চৌধুরী টিপুর ছোট ভাই আবদুল হাসান চৌধুরী অপুকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

 

 

কুমিল্লা নগরীর পুরাতন চৌধুরী পাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান চৌধুরীর ছেলে জিয়াউল চৌধুরী টিপু। টিপু এর আগে হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের সাবেক সার্জেন্টের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

 

 

 

সোমবার (১০ জুন) বিকাল ৫ টায় সরেজমিনে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে জেলা ট্রাফিক কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, জিয়াউল চৌধুরী টিপু অফিস কক্ষে অবস্থান করছেন এবং কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সেখানকার কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলে আবু আমেল নামে এক কন্সটেবল বলেন, সকালে স্যার অফিসে আসছিলো, দুপুরেও আসছিলো। স্যার তো একটু আগে বেরিয়ে গেলো। আজ সারাদিন ই মিটিং ও প্রোগ্রামে ব্যস্ত ছিলো।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়াউল চৌধুরী টিপু বলেন, আমার বদলী হয়েছে। পায়ে ব্যাথা পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমি এখন অফিসে যাই না।

 

 

 

এই বিষয়ে জানতে চাইলের কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান বলেন, আপাতত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হিসেবে কেউ নিয়োগ যেহেতু হয়নি, তাই হয়তো তিনি কয়েকদিন দায়িত্ব পালন করছেন।

 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, আপনাকে এ বিষয়ে কে কি বললো, আপনি অফিসে আসেন, তারপর কথা বলবো।

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন