অনলাইন ডেস্ক।।
সেন্টমার্টিন থেকে: সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ। এক সপ্তাহ ধরে একই জায়গায় নোঙর করে আছে জাহাজগুলো। সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখান থেকেই মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে ভারি গোলাবারুদ এবং মর্টার শেল ছোঁড়া হচ্ছে। একারণে আতঙ্কিত দ্বীপের বাসিন্দারা।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে তিনটি মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে আছে। তবে সেটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে কিনা জানা যায়নি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মো. হাশিম বলেন, এত কাছ থেকে এর আগে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ কখনো দেখা যায়নি। আমাদের জলসীমায় এই জাহাজগুলো অবস্থান করছে এবং আরও কয়েকদিন জাহাজ নিয়মিত চলাচল করে। এই জাহাজগুলো থেকে ওরা মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধ করে। গুলির আওয়াজ শুনা যায় এপার থেকে। আমরা কিন্তু একারণে অনেক ভয় পাচ্ছি।
রহমত উল্লাহ নামের সেন্টমার্টিন জেটিঘাটের পাশে বাজারের দোকানদার বলেন, আমাদের জলসীমায় জাহাজের অবস্থান। আমি কিছুদিন আগে টেকনাফ থেকে আসার পথেও এরকম কাছে দেখিনি। আমরা অনেক বেশি আতঙ্কে আছি। ভয় পাচ্ছি কখন কি হয় জানি না।
আমান উল্লাহ বলেন, আমাদের দেশকে তারা পরোয়া করে না। আমাদের জলসীমায় মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ চলে এসেছে। মানুষ যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে। আমরা গোলাগুলির শব্দ প্রতিদিন শুনতে পাচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই নৌযান চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা করা হোক। কালকে চারটি ট্রলারে করে যাতায়াত হয়েছে অনেক ঝুঁকি নিয়ে। আমরা এরকম চলাচল চাই না।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার জয়নাল আবেদীন বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ দেখা যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জলসীমায় অবস্থান করছে কিনা আমরা জানি না। এগুলো নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ড বলতে পারবে। তবে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে যুদ্ধজাহাজের ব্যাপারে।
এদিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ৯ দিন নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাহাজে করে খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন।
[sharethis-inline-buttons]সূত্রঃ বার্তা24
আপনার মতামত লিখুন :