স্টাফ রিপোর্টার ||
কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই ঘর ভাড়া নিয়ে গ্যাসের বোতল রিফিল করছেন এক ব্যবসায়ী। এছাড়াও, বড় সিলিন্ডার ভেঙে গ্যাস কম দেওয়ার জন্য বালি ও পানি মিশিয়ে ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের’ ছোট ছোট সিলিন্ডারে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাসের বোতল রিফিল করা হয়। এতে গ্যাসের গন্ধে ভারী হয়ে উঠে আশেপাশে। এতে যেকোনো মূহুর্তে গ্যাস বিষ্ফোরণের শিকার হওয়ার ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে এলাকাবাসীদের। সম্প্রতি এমন অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সিন্দুরিয়া পাড়া গ্রামের গ্যাস ব্যবসায়ী সাহেদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিন্দুরিয়া গ্রামের এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ে এমন অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, সিন্দুরিয়া গ্রামের খাজা ভ্যারাইটিজ স্টোরের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে রাস্তার পশ্চিম পাশে রিপন মজুমদারের মালিকানাধীন এক তলা ভবন ও পেছনে টিনের চালাঘরে একই এলাকার আব্দুর লতিফের ছেলে সাহেদ দোকানটি ভাড়া নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা পরিচালনা করছে। কিন্তু প্রতি রাতেই সিলিন্ডার খোলা ও গ্যাস ভর্তির কাজ করে, ফলে রাতের বেলায় গ্যাস লাইন খোলা ও ভরাট করার কারণে ফোঁস ফোঁস শব্দ পাওয়া যায় এবং গ্যাসে গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে এলাকাবাসী ভয়ে ভয়ে রাত্রী যাপন করে। এছাড়াও, বাজার থেকে বিভিন্ন গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করে ২টি সিলিন্ডারের গ্যাস তিনটি সিলিন্ডারে ভরাট করে সিলিন্ডারে অদাহ্য ওজন ঢুকিয়ে ওজন ঠিক রেখে দিনের বেলায় গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চালান দেয়। এতে, সাহেদসহ আরো কয়েকজন মিলে রাতে এখানে মাদক সেবন করে আবার গ্যাস সিলিন্ডারে অবৈধভাবে দেশী ওয়ার্কশপের মেশিন দিয়ে ম্যানুয়েল ভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস খালি ভরাট করে। যে কোন সমেয় বিশাল অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। বাতাসে যে পরিমাণ গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায় সিগারেটের আগুন থেকেই বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন জনবহুল এলাকায় যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে সাথে রক্ষিত আরও গ্যাস সিলিন্ডারগুলো ফুটে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও, সাহেদের এমন গ্যাস চুরির কারণে এলাকাবাসীগণ আতংকিত। নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় তাদেরকে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, সাহেদের এমন অবৈধ কার্যক্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো বন্ধ করতে আমরা এলাকাবাসীরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। যেকোনো মুহূর্তে এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা আমাদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। এছাড়া, বসুন্ধরা গ্যাসের মুনাফা বেশি হওয়ার কারণে অন্য কোম্পানীর গ্যাসগুলো বসুন্ধরা গ্যাসের বোতলে রিফিল করে ফয়দা লুটছে সে। প্রশাসন যাতে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয় সেই অনুরোধ করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি প্রধান কার্যালয়ে হয়ে আমাদের হাতে আসবে। আসা মাত্রই আমরা তদন্ত সাপেক্ষে অভিযান পরিচালনা করব।
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :