রুবেল মজুমদার||
শনিবার পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে কুমিল্লা জুড়ে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিলো চোখে পড়ার মত। সকাল সাড়ে ৯ টায় একটি বর্ণাঢ্য র্যালী জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু হয়। নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে টাউনহলে এসে মিলিত হয়। আনন্দ র্যালীতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
আনন্দ র্যালীর নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক রিয়ার এডমিরাল (অবঃ) আবু তাহের, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ড.সফিকুর রহমান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.আবু জাফর খান, কুমিল্লা সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাছের, র্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, নারীনেত্রী পাপড়ী বসুসজ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এদিকে সকাল দশটায় নগরীর টাউনহলে এসে দেখা যায়, বড় পর্দায় শতশত সাধারণ মানুষজন পদ্মাসেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় করেছেন।
নিজের রিকশা থামিয়ে টাউন হলের বাইরে থেকে পদ্মাসেতুর উদ্বোধন দেখতে আসা রিকশা চালক জমির হোসেন বলেন, তার বাড়ি পিরোজপুর। জমির বলেন, আমাদের মনে আনন্দের বন্যারে ভাই। টেনে টেনে কথা বলে জমির বলেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধনে আমাদের কেমন মনে হচ্ছে বলে বুঝানো যাবে না। এখন আর ফেরীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। সেতুর উপর দিয়া ফুরুত করে চলে যাবো বাড়ি।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন আমাদের আরেক বিজয়। সবাই হয়তো অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে উদ্বোধন দেখতে পারবেন না। তবে কুমিল্লাবাসীর জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর টাউনহলে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখার ব্যবস্থা করেছি। কুমিল্লার সব পেশা শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণে বলা যায় আজ কুমিল্লার জন্যও আনন্দের দিন।
কুমিল্লাজার্নাল.কম/জাহিদ
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :