• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২১ জুলাই, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ২১ জুলাই, ২০২২
Designed by Nagorikit.com

চিকিৎসা সেবায় পদ্মা সেতু এক নবদিগন্ত

কুমিল্লা জার্নাল
[sharethis-inline-buttons]

ফেরি ঘাটে এম্বুলেন্স আটকে মাকে হারানো সন্তান জানে পদ্মা সেতু কি! ৩ ঘন্টা দেরি হওয়াতে ইন্টারভিউ দিতে না পারা বেকার ছেলেটিও জানে পদ্মা সেতু কি! কুয়াশার কারনে ফেরি বন্ধ হলে ফ্লাইট মিস করা রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসীও জানে পদ্মাসেতু কি! সারাবছর পরিচর্যার পরে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরিঘাটের গরমে থেকে বস্তায় পচা সবজিগুলো দেখা কৃষকটিও বলতে পারবে পদ্মা সেতু কি! প্রচণ্ড ঝড়ে পদ্মায় ট্রলার সহ ডুবে যাওয়া সন্তানকে খুঁজে না পাওয়া বাবা মা জানে পদ্মা সেতু কি!

১৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন-সাধ-আর বিশ্বাসের গাঁথুনিতে অসাধ্যকে সাধন করা বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি দুর্বার সিধান্ত এবং মাথা না নোয়ানোর এক সফলতার নাম পদ্মা সেতু।

যে সৃষ্টিকর্মের প্রতিটি কণায় মিশে আছে বাঙ্গালীর আবেগ, অনুভূতি, নেতৃত্বের সাহসিকতা, মিশে আছে বৈশ্বিক-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইতিহাস, একরাশ দুঃখ বেদনা ও অনেক প্রাপ্তির গল্প। পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ আর ষড়যন্ত্র দলিত করে বিশ্বের বুকে আজ বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সাহস যুগিয়েছে এবং পৃথিবীর বুকে বাঙালির মান-মর্যাদা ও প্রত্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে আমাদের পদ্মা সেতু। এক কথায় বলতে গেলে পদ্মার বুক চিরে জেগে ওঠা বাংলাদেশের এক অপার বিস্ময়, স্বনির্ভরতার সাহসের নাম পদ্মা সেতু।মানুষ ভরসা রেখে পথ চললে স্বপ্ন জয় হয় আর স্বপ্নজয়ের হাজারো গল্পের বুনিয়াদেই তৈরি ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু’। একটিমাত্র সৃষ্টিকর্ম দিয়েই জাতিসত্তাকে যে মেলে ধরা যায়, প্রকাশ প্রায় সে জাতির আত্মমর্যাদা তারই নিদর্শন পদ্মা সেতু।

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার স্বপ্ন নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২৫ জুন, ২০২২ স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক নেতৃত্ব ও সাহসিকতায় পদ্মা সেতুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ীর সঙ্গে সড়কপথে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিপূর্ণতা শুরু হয়। সেই সঙ্গে খুলে যায় সবকটি বাণিজ্যিক পথ। ধারনা করা হচ্ছে, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জিডিপিতে ১ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ হবে।

এছাড়া দারিদ্র কমবে দশমিক ৭৫ শতাংশ। আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির যে প্রচণ্ড গতি, তা আরও বাড়িয়ে দেবে। এই গতি যে বস্তুভিত্তিক পরিবর্তনই আনবে তা নয়, মনস্তাত্ত্বিকভাবেও উপরে ওঠার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলবে যা আমাদের মনোবলকে আরও চাঙ্গা করবে। প্রতি বছর দারিদ্র্য নিরসন হবে শূন্য দশমিক ৮৪ ভাগ। এর মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রায় ৬ কোটি মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন ঘটবে, বিনিয়োগ বাড়বে।

এছাড়া ২১ জেলার কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। তাদের উৎপাদিত পচনশীল পণ্য সরাসরি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবেন। এতে পণ্যের ভালো দাম পাওয়া যাবে। রাতের পর রাত আর কাউকে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে না। সামগ্রিভাবে দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যে গতি সঞ্চার হবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়াতে মোংলা বন্দর ব্যবহার করা যাবে। পদ্মা সেতুর যোগাযোগ সুবিধাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে পদ্মার ওপাড়ে ছোটবড় শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। পদ্মার চরাঞ্চলে অলিম্পিক ভিলেজ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিটি, হাইটেক পার্ক, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতুসংলগ্ন জাজিরার নাওডোবা এলাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি গড়ে তোলা হচ্ছে। পদ্মা সেতুসংলগ্ন মুন্সিগঞ্জের লৌহজং, মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি, চর জানাজাত ও শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

ফলে এসব এলাকা অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হবে। শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে দক্ষিনাঞ্চলের বিনোদন কেন্দ্র ও পর্যটন কেন্দ্রগুলি আরও মুখরিত হবে। আমূল পরিবর্তন হবে চিকিৎসা খাতেও।দক্ষিণাঞ্চলে এখনো তেমন বড় কোনো টারশিয়ারি হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, নিউরো, সার্জারি ও গাইনোকলজিক্যাল জটিল রোগের চিকিৎসা দক্ষিণবঙ্গে নেই বললেই চলে। ফলে ২১ জেলার কোটি মানুষের ভরসা রাজধানীর টারশিয়ারি হাসপাতাল। তাই জটিল রোগীদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে রেফার্ড করা হয়। তবে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীরা ফেরিতে করে আসা যাওয়ার খরচ এবং সময়ের কথা চিন্তা করেই রোগ শরীরে পুষে রেখেছেন।

এছাড়া যাতায়াত ব্যবস্থার অচলাবস্থার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে তেমন একটা চেম্বার করেন নি এতোদিন। এতে রোগ পুষে রাখা মানুষের সংখ্যাও বছর বছর বেড়েছে। এখন সেই সমস্যা মিটে গেল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মুহূর্তের মধ্যে ঢাকা থেকে আসতে পারবেন। এই পাড়ের বেসরকারি হাসপাতালে চেম্বার করবেন। রোগীরা বাড়ির কাছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন। এতদিন যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর না হওয়ায়, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় জন্ম নেয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আগে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও চাইলেই পদ্মা নদী পার হয়ে এলাকার রোগীদের গ্রামে বসে সেবা দিতে পারতেন না। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় সহজে নিজ নিজ গ্রামে যেতে পারবেন। মানুষকে সেবা দিতে পারবেন। ফলে বাড়ির পাশে কম খরচে খ্যাতিমান চিকিৎসকের পরামর্শ পাবে দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষ।

পদ্মা নদী পারাপারের জটিলতা ও যোগযোগ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায়, দক্ষিণাঞ্চলের জেলা গুলো থেকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বেশীরভাগ রোগী বা তাদের পরিবার চিকিৎসার জন্য চলে যেতেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। কিন্তু যারা এখন বিদেশের মত উন্নত চিকিৎসাসেবা দেশেই পেতে চান, তারাও চাইলেই খুব সহজে সে সেবা এখন দেশেই পেতে পারেন। পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মেলবন্ধন হিসেবে কাজ করছে। চাইলে যে কেউ সাধ্যমতো উন্নত চিকিৎসার জন্য নিমিষেই পৌঁছে যেতে পারেন রাজধানীতে। পাবেন টারশিয়ারি হাসপাতালের সেবা, বিদেশের চেয়ে কম খরচে। এতে বাঁচবে অর্থ ও সময়।কিছুদিন আগেও পরিস্থিতি এমন ছিলো না। কোন রোগীকে জরুরী ও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসতে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। আশা নিয়ে রোগীর স্বজনরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলেও বিপত্তি বাধতো পদ্মা পাড়ে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের নদী পারাপারে কেটে গেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। রাতে ফেরি পাওয়া অনেক সময় সোনার হরিণ। নাব্য সংকট, স্রোতের কারণে বিভিন্ন সময় চলত না ফেরি। আবার শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন দিনে কিংবা নৌ-সতর্কতা সংকেত জারি হলেও বন্ধ থাকত ফেরি চলাচল।

এতে উন্নত চিকিৎসা তো দূরে থাক নদীর পাড়ে ফেরির জন্য অপেক্ষায় থেকে, মাঝ নদীতে কিংবা ঢাকায় আসার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদ্মা পাড়ে স্বজন হারানোর কত আর্তচিৎকারে আকাশ ভারী হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। তাদের মধ্যে এমন একজন শরীয়তপুর জেলার আঙ্গারিয়া এলাকার ছেলে সাইফুল। বাবা-মা আর দুই ভাইবোনের ছোট্ট পরিবার। ২০২১ সালের নভেম্বর তার মায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারের সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। শীতের রাতে হঠাৎ স্ট্রোক করেছিলেন সাইফুলের মা। জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দ্রুত ঢাকায় রেফার্ড করেন। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছালেও ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ সাইফুলের মা মারা যান।

এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অসুস্থ বাবা-মা’কে নিয়ে কত সন্তান নিমিষেই রাজধানীর ভালো হাসপাতালে যেতে পারছে, কিন্তু সেদিন ফেরির জন্য অপেক্ষা করে সাইফুলকে অবশেষে মায়ের লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। ২০১৯ সালের এমন আরেকটি ঘটনা সবারই জানা। রাষ্ট্রের একজন আমলার জন্য প্রায় তিন ঘণ্টা ঘাটে ফেরি অপেক্ষমাণ রাখা হয়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নড়াইল কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিতাস নামে এক স্কুলছাত্রের করুণ মৃত্যু হয়। এছাড়া মাদারীপুরের বাংলাবাজারে দুটি ফেরি থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পদদলিত হয়ে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। ওই ঘাটে ফেরিতে ওঠার জন্য অপেক্ষায় থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে রোগীর।

দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রায় প্রতিটি পরিবারে রয়েছে এমন বিষাদের স্মৃতি। কাওড়াকান্দি, কাঁঠালবাড়ি ও মাঝিকান্দি নৌ-ঘাটে ঘণ্টার পার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও নদী পার হতে না পেরে অনেক জটিল রোগীর স্বজনকে অশ্রুসজল নয়নে লাশ নিয়ে ফিরতে হয়েছে বাড়ি। এখন আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। এখন সব সমস্যার সমাধানে রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই পদ্মা সেতু কতখানি অবদান রাখবে সেটি এসব ভুক্তভোগী পরিবার ছাড়াও ২১ জেলার মানুষ ভালো করেই জানে।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আরেকটি দ্বারও উন্মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে, যারা ঢাকা ছাড়াও চট্রগ্রাম, সিলেট সহ বিভিন্ন জেলা শহরে তাদের সেবা প্রদাণ করে যাচ্ছে। এতোদিন যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে দক্ষিণাঞ্চলে তাদের কোন হাসপাতাল বা সেন্টার তৈরি হয় নি, তবে এখন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে হাসপাতালগুলো তাদের কার্যক্রম খুব সহজেই দক্ষিণাঞ্চলে চালু করতে পারবেন। এতে চিকিৎসা উন্নয়নের পাশাপাশি বেকারত্ব দূর হবে। মানোন্নয়ন হবে এ ২১ জেলার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর।ক্ষরস্রোতা পদ্মার বুক চিড়ে নির্মিত আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতিক এই পদ্মাসেতু আমাদের কাছে কেবল রড-সিমেন্টের একটি অবকাঠামো-ই-নয়, পদ্মাসেতু জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোভাব, আবেগ, উচ্ছ্বাস, সাহস এবং সক্ষমতার এক অভূতপূর্ব অনুভুতির গৌরবগাঁথা এবং অর্থনৈতিক বড় প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য আরেকটি মাইলফলক।

লেখক
সাজ্জাদুর রহমান শুভ
সাংবাদিক ও পিআর, কমিউনিকেশন স্পেশালিষ্ট

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • গণমাধ্যম এর আরও খবর