• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
Designed by Nagorikit.com

কুমিল্লায় ধর্ষণের পর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

কুমিল্লা জার্নাল

স্টাফ রিপোর্টার।।

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় ধর্ষণের পর চতুর্থ শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী (১৫) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা শনিবার বিকালে মো. ফয়েজুর রহমানের (৪০) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। পরে বিকেলে গ্রেপ্তার তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

 

গ্রেপ্তার ফয়েজুর রহমান পৌরসভার ইকরা নগরী এলাকার দারোগা বাড়ির মৃত হাফেজ খলিলুর রহমানের ছেলে।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফয়েজুর গত বছরের ২৩ নভেম্বর দুপুর ১২টার মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পর ওই ছাত্রীকে (১৫) তার কক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এর এক মাস পর অসুস্থ হলে ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা যায় ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এই ঘটনার পর ১ মাস ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

 

ভুক্তভোগী ছাত্রী বাবা বলেন, ‘ওই মাদ্রাসায় আমার মেয়ে প্রায় ৪ বছর ধরে লেখাপড়া করছে। প্রায় সময় আমার মেয়েকে কাজের কথা বলে তার কক্ষে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করত ফয়েজুর। মেয়ে লজ্জা ও ভয়ে কাউকে কিছু বলত না। গত ২৩ জানুয়ারি সাড়ে ১২টার দিকে মেয়ের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে তাকে দেবিদ্বারে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন। পরে রিপোর্টে দেখা যায় আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা।’

 

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানান, বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন শিক্ষক। তাই লজ্জায় ভয়ে কাউকে জানায়নি।

 

দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া জানান, আজ সকালে ওই শিক্ষককে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয় করা হয়েছে। পরে বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

  • কুমিল্লা এর আরও খবর