হাবিবুর রহমান মুন্না।।
শুধু পরাজিতই নয়, নির্ধারিতের চেয়ে কম ভোট পেয়ে জামানতও হারালেন একই পরিবারের পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীও রয়েছেন। কুমিল্লার দেবিদ্বারের ফতেহাবাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ১৫জন প্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নৌকাসহ একই পরিবারের পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। তবে ভোটে তারা সবাই পরাজিত হয়েছেন।
ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার স্বাক্ষরিত বেসরকারি ফলাফলের তালিকায় এ তথ্য জানা যায়। ওই পরিবারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহনাজ পারভীন ৮৭০ ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। একই সঙ্গে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
অন্য চার প্রার্থী হলেন, শাহনাজ পারভীনের সৎছেলে মো. আল মামুন, তার ভাশুর সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার এম এ ছালাম এবং ছালামের দুই ছেলে খন্দকার ফখরুল ইসলাম ও খন্দকার মজিবুর রহমান।
তাদের মধ্যে খন্দকার ছালাম আনারস প্রতীকে তিন হাজার ৪৪৭ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন। এ দিকে মো. আল মামুন পাতা প্রতীকে পেয়েছেন সাত ভোট, খন্দকার ফখরুল ইসলাম ২৫ ও খন্দকার মুজিবুর রহমান ৫৩ ভোট পেয়েছেন।
এ দিকে ওই ইউনিয়নে দোয়াত কলম প্রতীকে চার হাজার ৫৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মাসুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেলোয়ার হোসেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৪০৩ ভোট। চশমা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ হাসান তিন হাজার ৫৪৪ ভোট ও ঢোল প্রতীকের মফিজুল ইসলাম তিন হাজার ২১০ ভোট পেয়েছেন।
ইউনিয়নে ৩২ হাজার ২৫০ জন ভোটারের মধ্যে ২১ হাজার ২ জন তাদের ভোট দেন।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রে মোট কাস্টিং ভোটের এক দশমিক আট ভাগের কম ভোট যদি কোনো প্রার্থীর পক্ষে পড়ে সেক্ষেত্রে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
‘ওই পাঁচ প্রার্থী নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় গেজেটের পর তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।’
কুমিল্লা জার্নাল.কম/মুন্না
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :