গাজী মামুন, লালমাই।।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি বলেন, বিশ্বে একসময় বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যেত না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪ বছরের আমলে দেশ এখন অর্থনীতিতে ২৫ তম স্থান অর্জন করেছে। এ নলেজ পার্কের মাধ্যমে সমগ্র কুমিল্লার ছেলে মেয়েরা প্রযুক্তির খাতে এগিয়ে যাবে। আমরা সবাই মিলে কুমিল্লাকে এগিয়ে নিবো।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন জেলা পর্যায়ে হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের উদ্যোগে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুরে নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ফলক উন্মোচন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বিপিএম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ, সমাপনী বক্তব্য রাখেন জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক স্থাপনের প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বর্তমান সরকার তরুণ প্রজন্মকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লার তরুণ তরুণীদের জন্য ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক ও স্মার্ট কর্মসংস্থানের ঠিকানা নলেজ পার্ক তৈরি করে দিচ্ছেন আজকে পার্কের ফলক উন্মোচন করলাম। এখন আর কুমিল্লার তরুণ তরুণীদের পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্য ঢাকা কিংবা প্রবাসে যেতে হবে না। নলেজ পার্কেই মিলবে চাকরির সুযোগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের পরামর্শে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে ১৩ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছি। দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যেতে হলে আমাদের সন্তানদের প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে হবে।
আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিষয়ক তথ্যচিত্র ‘মুজিব চিরঞ্জীব’ ও প্রকল্পের তথ্যচিত্র এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও নলেজ পার্ক প্রাঙ্গনে চারা রোপণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের অর্থায়নে দেশের ১২টি জেলার মধ্যে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার দত্তপুর মৌজায় ৭.৮৮ একর জায়গায় পার্কটি নির্মিত হবে। এই ‘নলেজ পার্ক’ স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ১০০০ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর ৩০০০ লোককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :