মোস্তাফিজুর রহমান।।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ দিঘি ইউনিয়নের সোনাপুরে হাইকোর্টের নির্দেশে ১৩২ বছর পর মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তি উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল ১৮ নভেম্বর শনিবার সকালে হাইকোর্টের নির্দেশে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদ করে মসজিদ কমিটিকে জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যয় নির্বাহের নির্মিতে ১৮৯১ সালে জগন্নাথ দিঘি ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার দানবীর মরহুম আশ্রাফ আলী চৌধুরী, মরহুম মহব্বত আলী চৌধুরী, মরহুম মিন্নত আলী চৌধুরী, মরহুম আবদুল আলী চৌধুরী ২৮/১২/১৯৯১ সালে মসজিদের নামে ৩১ শতক জায়গা বাংলাদেশ ওয়াকফ এস্টেটে রেজিস্ট্রিকৃত করে দেন।
পরবর্তীতে চুক্তিপত্র করে বছরে ১৩ টাকা খাজনায় এ জায়গা ভাড়া দেওয়া হয়। ভাড়া নিয়ে দখলদারেরা এ জায়গা নিজেদের নামে আরএস ও বিএস খতিয়ান করে প্রায় ১০০ বছর ভোগদখল করে রাখে। যার কারণে আজকের এ সমস্যাটি তৈরি হয়।
বর্তমানে এ জায়গায় ৮ পরিবারে প্রায় ৬৫ জন মানুষ বসবাস করে আসছিল। উচ্ছেদ অভিযানের সময় অনেকই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
অভিযুক্ত রেহেনা আক্তার বলেন, এ জায়গা আরএস,বিএস সব আমাদের নামে। ১৯৯৬ সালে এ জায়গা নিয়ে প্রথম সমস্যা হয়। পরে এই জায়গার সমস্যা সমাধান হয়েছে। আমরা মসজিদে ১০লাখ টাকা দিয়ে দিছি। আবার ১৫ গন্ডা জমি দিছি তারপরেও কমিটির লোকেরা ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে এখান থেকে উচ্ছেদ করছে। উচ্ছেদের জন্য আমাদেরকে কোন নোটিশও দেওয়া হয়নি।
মসজিদ কমিটি সভাপতি আ. রহিম চৌধুরী বলেন, এই জায়গা মসজিদের কিন্তু তারা আজকে ১০০ বছর ধরে ভোগদখল করে খাচ্ছে। এই সমস্যাটা একবার সমাধান হয়ে ছিলো কিন্তু তারা কার কথা শুনে সেই রায়টা মানে নাই। তাই আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে মসজিদে জায়গা মসজিদকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।
ইউপি সদস্য জুবায়ের আহমেদ বলেন, এই সমস্যাটা আগে একবার সমাধান হয়েছে। কিন্তু এখন যেটা হচ্ছে সেটি বারাবাড়ি।
জগন্নাথ দিঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন বলেন,আমরা হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য এখানে এসেছি । রায় অনুযায়ী যার জায়গা তাকে বুঝিয়ে দিয়ে যাবো।
কুমিল্লা জার্নাল /মুন্না
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :