স্টাফ রিপোর্টার ।।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মধ্যম আশ্রাফপুর এলাকায় মো.ফারুক হোসেনের নিজ সম্পত্তি দখলের বাধা দেওয়ায় তার পরিবারের উপর হামলা চালায় মেহিদি হাসান প্রিন্স ও মাকসুদুল হাসান জুয়েল। এতে ৪ জন গুরুতর আহত হয়।
রোববার দুপুরে ফারুক হোসেনের নিজ বসতবাড়ি দখলের বাধা দেওয়ায় প্রতিবেশী প্রিন্স ও জুয়েল এবং তাদের পিতা আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে হামলায় আহত হলেন,মো.ফারুক হোসেন,মো,আজাদ হোসেন,নূরজাহান আক্তার,মিলুয়ারা বেগম।
এ ঘটনার রোববার মো. ফারুক হোসেনের স্ত্রী মিলুয়ারা বেগম (৫৮) মেহেদী হাসান প্রিন্সকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ।
মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, সদর দক্ষিণ থানার মধ্যম আশ্রাফপুর এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে প্রিন্স ও জুয়েল,লতিফ ও ফারুক সর্ম্পকে সৎ ভাই। চাকরি সুবাদে ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ঢাকা মগবাজারে বসবাস করতেন। বিগত এক মাস আগেই নিজ সম্পত্তি ও বসত বাড়িতে গেলে তার সৎ ভাই লতিফ হোসেন তাদের বাধা দেন। পরে পুলিশ এসে ফারুক হোসেন ও তার পরিবারকে বাড়িতে তাদের নিজ বসতবাড়িতে ঢুকতে দেন। বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে লতিফ মিয়ার লোকজনের মাধ্যমে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করার প্রস্তাব দেন। বিক্রি না করলে হত্যা ও আগুন দিয়ে বসতবাড়ি জ¦ালিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন প্রিন্স ও জুয়েল।
এর কিছুদিন পর রোববার (৪সেপ্টেম্বর) দুপুরে হঠাৎ করে লতিফ ও তার দুই পুত্র প্রিন্স ও জুয়েল,ফারুক হোসেনের বসতবাড়িতে অর্ধশতাধিক স্থানীয় সন্ত্রাসী নিয়ে দা,ছেনী ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আজাদকে কুপিয়ে আহত করেন। ঘটনাস্থলে আজাদের পিতা ফারুক মিয়া বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ও বেধড়ক মারধর করে প্রিন্স ও তার সহযোগীরা । এতে স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আজাদের স্ত্রী নূরজাহান বেগম ও তার মা মিলুয়ারা বেগমকে প্রিন্স ও জুয়েল এবং তাদের মা শিরিন আক্তার গুলসান আক্তার মিলে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। আহত সবাই বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার বাদী মিলুয়ারা বেগম বলেন,আমরা দীর্ঘদিন ঢাকা বসবাস করতাম,কিছুদিন আগেই স্বামীর বাড়িতে আসলাম। লতিফ মিয়া আমাদেরকে বার বার তার কাছে আমাদের বসতবাড়ি বিক্রি করার প্রস্তাব দেয়। আমার চার সন্তান। আমি ও আমার স্বামী তার প্রস্তাবে রাজি হইনি,রাজি না হওয়ায় বিভিন্নজনের মাধ্যমে লতিফসহ তার দুই ছেলে প্রিন্স ও জুয়েল আমাদের নানা ভাবে হত্যার হুমকি প্রদান করে। রবিবার আমরা মামলার করার কথা বললে আমি আমার স্বামী ও আমার ছেলে,পুত্রবধূকে মারধর করে। আমি মাননীয় পুলিশ সুপার ও সরকারের কাছে আমার পরিবারে নিরাপত্তা চাই ।
এ বিষয় অভিযুক্ত জুয়েল বলেন ,আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।এটি একটি সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছু নয়,আমরা কাউকে আহত করিনি,বরং তারা আমার ভাই প্রিন্স উপর হামলা করেছে।
এ বিষয় সদর দক্ষিণ থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। উভয় পক্ষ এ বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
কুমিল্লাজার্নাল/জাহিদ
আপনার মতামত লিখুন :