• ঢাকা
  • রবিবার, ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১ মার্চ, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ১১ মার্চ, ২০২৩
Designed by Nagorikit.com

রাহ্মণপাড়া  বোমা উদ্ধার গুপ্তধন মনে করে বাড়িতে নিয়ে যান নারী

কুমিল্লা জার্নাল
[sharethis-inline-buttons]
রাহ্মণপাড়া  বোমা উদ্ধার গুপ্তধন মনে করে বাড়িতে নিয়ে যান নারী

অফিস ডেস্ক।।

কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলায় ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে উদ্ধার করা একটি বোমা আজ শনিবার দুপুরে বিষ্ফোরন ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল মাটিতে পুতে বিষ্ফোরণ করে বোমাটি ধ্বংস করে।

গত শুক্রবার পাতা কুড়াতে গিয়ে বোমাটি গুপ্তধন মনে করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পরে পুকুরের পানিতে নিমজ্জিত রাখা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মল্লিকাদীঘি গ্রামের সুফিয়া বেগম নামের এক নারী গত শুক্রবার বিকালে তাদের বাড়ির পাশেই শুকনা পাতা কুড়াতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি মাটিতে পুতে থাকা পিতলের তৈরী একটি বস্তু দেখতে পায়। এটিকে গুপ্তধন মনে করে বাড়িতে নিয়ে তিনি। সেখানে নিয়ে তার ছেলে মাইন উদ্দিনকে দেখায়।
এ সময় মাইন উদ্দিন এটিকে বোমা বলে তাৎক্ষনিক ভাবে পুকুরে ফেলে দেয়। মাইন উদ্দিন ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ সময় পুকুরে ফেলে রাখা বিষয়টি নজরে রেখে পুলিশের বোমা ডিস্পোজাল ইউনিটকে খবর দেয়।

পুলিশের নিষ্কিয়করণ দলের পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সার এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পুকুর থেকে বোমাটিকে উদ্ধার করে দেখতে পায় একটি অবিষ্ফোরিত কামানের গুলি। এটির ওজন ১০ কেজি, দৈর্ঘ-সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। পরে পাটিতে পুতে বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে একটি ধ্বংস করা হয়েছে।

সুফিয়া বেগম বলেন, এটিকে দেখে আমার মনে হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ গুপ্তধন। তাই এটিকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমার ছেলে বলছে একটি বোমা। পরে পানিতে ফেলে দিয়ে আমার ছেলে ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল, ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকরামুল  হক, থানার উপ পরিদর্শক (এস.আই) আল হাবি রবিন প্রমুখ।

ব্রা‏হ্মণপাড়া ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, পাতা কুড়াতে গিয়ে এক নারী বোমাটি খুঁজে পায়। গুপ্তধন মনে করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার ছেলে এটিকে বোম মনে করে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পরে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবিষ্ফোরিত কামানের গোলাটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিক্ষেপ করা হয়েছিলো এটি।
[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • কুমিল্লা এর আরও খবর