
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় পুকুরে পড়ে ১৪ মাস বয়সী খাদিজা আক্তার নামে এক শিশু মারা যায়। এরপর তার মরদেহ কোলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় হাজির হন মা সুরাইয়া বেগম। আজ বুধবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার পৌরসভা গোমারবাড়ী এলাকায় দূর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের তাজুল ইসলামের একমাত্র শিশু কন্যা খাদিজা সন্ধ্যায় ঘরের পাশে কালাম মিয়ার মৎস্য ফিশারিজ পুকুরে পড়ে মারা যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহায়তায় শিশুটির মা সুরাইয়া বেগম মরদেহ কোলে নিয়ে প্রথমে সহকারী কমিশনার ভূমি তমালিকা পালের কাছে নিয়ে যায়। মৎস্য ফিশারিজ মালিক কালামে বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি অভিযোগ করে। এরপর সহকারী কমিশনার তাদেরকে থানায় যাওয়া পরামর্শ দেন।
নিহত খাদিজার মা সুরাইয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার একমাত্র সন্তান কালামের মাছের পুকুরে পড়ে মারা যায়। আমি কী নিয়ে বেঁচে থাকব। আজ যদি ওই ফিশারিতে নেট লাগিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করত, তাহলে হয়তো আমার বুকের ধন মারা যেত না। আর যেন কোনো মায়ের বুক এইভাবে খালি না হয়। কালামের বিচারের দাবিতে আমার সন্তানের মরদেহ নিয়ে আমি থানায় হাজির হয়েছি।”
এ ব্যাপারে কালামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, “আমি সরকারি কাজে কুমিল্লায় আছি। শুনেছি এক মহিলা শিশুর মরদেহ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছে। ডিউটি অফিসারকে বলেছি বিষয়টি দেখার জন্য। বিস্তারিত বলতে পারছি না।”
আপনার মতামত লিখুন :