মোঃ জুয়েল রানা, তিতাসঃ
কুমিল্লা তিতাস উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে মূল ২পদে জায়গায় করে নিতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের শুরু হয়ে গেছে দৌড়ঝাঁপ। কেন্দ্র থেকে জেলা পর্ষন্ত চলছে জোর লবিং। এনিয়ে তৃনমুলে চলছে জল্পনা-কল্পনা। এবং দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি ২০২০ সালে উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সালাউদ্দিন সরকার সভাপতি ও ওসমান গনি ভূঁইয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এরপর কমিটির প্রায় দুই বছেরর মাথায় সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার সপরিবার নিয়ে বিদেশ পারি দিলে পদটি শূন্য হলে গত ১৭ নভেম্বর ২০২১ সালে তিতাস উপজেলা বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজ্বী আলী হোসেন মোল্লাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর ৬ মাস পরেই কেন্দ্রীয় কমিটি কুমিল্লা উত্তর জেলা মেয়াদোত্তীর্ণ বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সরকারকে আহবায়ক ও এ.এফ.এম তারেক মুন্সী কে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটি ঘোষণার পরপরই কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী সংগঠনকে গতিশীল করতে তিতাস উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আলোচনা আসলে শুরু হয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদে শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ।
জেলা ও উপজেলা সিনিয়র নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, তিতাস উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিতে আসার জন্য আহ্বায়ক পদে ৩জন ও সদস্য সচিব পদে ২জন জোর লবিং করছেন। তারা হলেন আহ্বায়ক পদে, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজ্বী আলী হোসেন মোল্লা, সহ-সভাপতি মো. মাহবুব আলম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওসমান গনি ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব পদে, বর্তমান কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান সেলিমা ভূঁইয়া এবং উপজেলা বিনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী কবির হোসেন সেন্টু।
এর মধ্যে আহ্বায়ক পদে ওসমান গনি ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব পদে মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়ার নাম শোনা যাচ্ছে বেশ জোড়েসোড়ে এবং এগিয়ে আছেন বলে আলোচনা চলছে।
এব্যাপারে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ মোতাবেক বিগত দিনে যারা দলের জন্য ভালো ভূমিকা রেখেছে, হামলা মামলার শিকার হয়েছে এবং সামনে কঠিন সময়ে যারা রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে পারবে তাদেরকে দিয়ে তিতাস উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। আর যারা দুঃসময়ে কমিটিতে থেকেও আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় ছিলেন বাদ পড়বেন শুধু তারা। কোন তদবিরে কাজ হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :