• ঢাকা
  • শনিবার, ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
Designed by Nagorikit.com

কুবিতে কনজাংটিভাটিসের আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা জার্নাল
[sharethis-inline-buttons]

 

নাজনীন নৈশি, কুবি প্রতিনিধি:

চোখ উঠা রোগের সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত। কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আবার কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে উঠতে বয়সি সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হয়। সম্প্রতি হঠাৎ করেই বাড়ছে চোখ উঠা রোগীর সংখ্যা। এতে আক্রান্ত হচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।

চোখ উঠা বা কনজাংটিভাটিস হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। কনজাংটিভা নামক চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে চোখ ওঠা রোগ বলা হয়। এটা অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ, রোগীর সংস্পর্শে এলে বা ব্যবহারিত জিনিসপত্র, কাপড়, টাওয়াল, টিস্যু ইত্যাদি শেয়ার করলে, এমনকি চোখের কাছাকাছি এসে আক্রান্ত রোগীর চোখের দিকে সুস্থ ব্যক্তি তাকালেও এ রোগ হয়ে যেতে পারে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের এ রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ রিমন বলেন,
রোগটা আমার জীবনে প্রথম। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার কাছে এটা অস্বস্তিকর ছিল। হলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং তারা এ রোগে ভোগছে। বিষয়টা সবার জন্য একটু উদ্বেগের।

আরেক শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. রায়হান আহমেদ জানান,
প্রথম দিন থেকেই আমার চোখ জ্বালাপোড়া করতে শুরু করে। দ্বিতীয় দিন আমি ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ড্রপ ব্যবহার করি। ৩/৪ দিনের মাঝেই আমার পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। অন্যদের আমি পরামর্শ দিব, এই রোগটি হলে যেন তারা বাহিরে না যায়। যেহেতু এটি ছোয়াঁছে তাই বাহিরে গেলে যেন অবশ্যই সানগ্লাস পরে বের হোন।

রসায়ন বিভাগের নাফিসা তাফান্নুম বলেন, প্রথমদিকে চোখ ব্যথা করা শুরু করে, লাল হয়ে যায় এবং চোখের শ্বেতমন্ডল ফুলে যায়। পরেরদিন দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই।
চোখ পরীক্ষা- নিরীক্ষার পর ডাক্তার আমাকে কালো চশমা পরতে বলেন এবং চোখে পানি না লাগাতে বলেন।

রোগটির লক্ষণ হিসেবে প্রথমে একটা চোখ আক্রান্ত হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে দ্বিতীয় চোখটিও আক্রান্ত হয়।

শুরুতে চোখে ময়লা পরার অনুভূতি, চোখ খচখচ করা, চোখ গোলাপি বা লাল হতে পারে ,
চোখ ফুলে যেতে পারে, চোখে প্রচণ্ড রকম অস্বস্তি লাগতে পারে, ব্যথা হতে পারে, ঝাপসা দেখা ,চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে পারে এমনকি পুঁজও বের হতে পারে।

এ বিষয়ে প্রতিকার জানতে চাইলে কুবির মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, চোখ উঠা ভয়ানক কোনো রোগ না, এটা স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়ে আবার স্বাভাবিকভাবে শেষ হয়ে যায়। যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। তারা যেন অন্যদের ছড়াতে না পারে সেজন্য কালো চশমা ব্যবহার করবে। তাছাড়া চোখে যেন ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কিছু ইনফেকশন না করতে পারে আমরা পাঁচ-সাতদিনের জন্য মক্সিলসিন নামক এন্টিবায়োটিক ড্রপ রেফার করছি এবং এতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারবে।

 

কুমিল্লাজার্নাল/জাহিদ

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • কুমিল্লা এর আরও খবর