• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১ জুলাই, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ১ জুলাই, ২০২২
Designed by Nagorikit.com

কুমিল্লার সালিসে চেয়ারম্যানের সামনে নারীকে মারধর!ভিডিও ভাইরাল

কুমিল্লা জার্নাল

রুবেল মজুমদার ।।
কুমিল্লায় চেয়ারম্যানের সামনেই মরিয়ম (৩৫) নামে এক নারীকে সালিসে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।
বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় জেলার মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম নবীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ত্রিশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম ওই গ্রামের মৃত খুরশিদ আলমের মেয়ে। ঘটনার পর আহত মরিয়মকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগরে পূর্ব বিরোধ এবং গত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেয়ার অভিযোগ এনে গত ২৮জুন রাতে  মুরাদনগর উপজেলার ত্রিশ গ্রামের নারী মানবাধিকার কর্মী এবং ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশনের কর্মী মরিয়ম বেগমকে লোক মারফত কোম্পানীগঞ্জ বাজারে ডেকে আনেন ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকানে শালিসে বসেন। ভিডিওতে দেখা যায়,শালিস চলাকালে নবীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন তার দলবল ওই নারীকে শ্লীলতাহানিসহ মারধর করেন। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষায় ওই নারী এদিক সেদিক ছোটাছুটি করলেও হামলাকারীরা তাকে নির্যাতন করেন।
মরিয়মের ছেলে রাসেল মিয়া  বলেন ,আমার নানী ১৯৯৬ সালে জায়গা সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। সেই জায়গায় ইউপি সদস্য দেলোয়ার জোর করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। আমার মা কোর্ট থেকে স্টে অর্ডার আনলে কাজ বন্ধ করা হয়। সেই জায়গার বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় দেলু মিয়ার দোকানে সালিস বসানো হয়। সেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সামনেই আমার মাকে মারধর করা হয়। মা এখন চিকিৎসাধীন আছেন। আমার মা সুস্থ হলে আমরা মামলা করব।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, মরিয়মের ছেলে মাদকব্যবসায়ী। তিনি চেয়ারম্যান-মেম্বারের নাম বিক্রি করে মাদক ব্যবসা করেন। আমরা সেটার প্রতিবাদ করায় মরিয়ম আমার ভাইয়ের ওপর চড়াও হন। পরে আমার ভাই উত্তেজিত হয়ে তার গায়ে হাত দেন।
পশ্চিম নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমাকে সালিসের কথা বলে ডেকে নেওয়া হয়েছে ঘটনার পর। মারধরের সময় আমি ছিলাম না। আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ভিডিও ভাইরাল করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এবিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাশিম বলেন, ওই নারী শুরুতে একটি সাধারণ ডায়েরি করতে এসেছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা তাকে নিয়মিত মামলা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরও পড়ুন

  • কুমিল্লা এর আরও খবর