
রুবেল মজুমদার ।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার সময় হিট স্কোয়াডে থাকা এজাহারবহির্ভূত অপর দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন- নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো.নাজিম ওরফে পি”িচ নাজিম (৩০) এবং জেলার চৌদ্দগ্রামের গুণবতী গ্রামের মৃত বা”চু মিয়ার ছেলে মো.রিশাত ওরফে নিশাত (২৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা রিশাত। গ্রেফতারদের ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হ”েছ।
সর্বশেষ পুলিশ জানতে পারে রিশাত ওরফে নিশাতের বাড়ি ফেনী নয়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। এ ৬ জনের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন শাহ আলম, সাব্বির ও সাজন। আর জেল সোহেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে এখন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, সোহেল ও হরিপদকে গুলি করে হত্যার সময় হিট স্কোয়াডে ছিলেন ৬ জন সন্ত্রাসী। এরা হলেন- মামলার এজহারনামীয় প্রধান আসামি শাহ আলম, ২ নম্বর আসামি সোহেল ওরফে জেল সোহেল, ৩ নম্বর আসামি মো.সাব্বির হোসেন, ৫ নম্বর আসামি সাজন, এজাহারবহির্ভূত ¯’ানীয় নাজিম নামে এক যুবক ও ফেনী থেকে আগত সন্ত্রাসী নিশাত।
উল্লেখ্য গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :