বুড়িচংয়ে জালিয়াতি করে জোরপূর্বক স্কুলের নামে দানপত্র দলিল করার অভিযোগ
0 Share
[sharethis-inline-buttons]
-
স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নে মধ্য শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে খতিয়ান দলিল ও স্বাক্ষর জাল করে জোরপূর্বক স্কুলের নামে জমি দানের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন মুকবুল হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী।
তিনি বলেন, বসতবাড়ির জায়গাকে নাল জমি উল্লেখ করিয়া দলিল রেজিস্ট্রি করে। প্রথমে সল্প ব্যয়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে এবং শিক্ষক নিয়োগ হাজার হাজর টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করে। বিদ্যালয় স্থাপনে জমির মালিকদের উপর্যুক্ত শিক্ষক প্রার্থী থাকার পরেও নিয়োগ দেওয়া হয় নাই।
উল্লেখিত দলিল ও মৌজায় গঙ্গাধর চন্দ্র দাস, পিতা- বংশী নামের আর.এস ১১২নং খতিয়ানে উল্লেখ করে। যার দাগ নং ২১৯ ও ৬৯ শ্রণী নাল উক্ত খতিয়ানের নাল ২১৯ ও ৬৯ আর. এস দাগের পরিবর্তে আর. এস খতিয়ান ১৫ ও ২০৮ খতিয়ানের আর.এস দাগ ৩০৮ উল্লেখ করেন। অপরদিকে অন্য মৌজার মুসলমান আছমত আলী, পিতা – মৃত,আলী আহাম্মদ, সাং- মালাপাড়া। উক্ত মৌজার বি.এস ১১নং খতিয়ান উল্লেখ করে উক্ত দানপত্র দলিলে বি.এস ১১৩ নং খতিয়ানের বি.এস দাগ ৭২৯ দলিলে লিপিবদ্ধ করে উল্টা পাল্টা দাগ নাম্বার, খতিয়ান নং দিয়ে এবং দলিলে স্বাক্ষীর স্বাক্ষর জাল করে কথিত জাল দান দলিল রেজিস্ট্রি করেন।
এবিষয়ে জমির প্রকৃত মালিকরা ২০১০ সালে উক্ত জাল জালিয়াতির বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করে এবং উকিল নোটিশ করার পরও বুড়িচং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাল জালিয়াতির বিষয় মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সম্পূর্ণ অনিয়ম ভাবে সঠিক তথ্য গোপন করিয়া ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি করে।
জমির মালিক মুকবুল হোসেন ভূইয়া কুমিল্লা ফৌজদারি আদালতে ১৪১৮/২০ নং ধারার মামলা করলে উক্ত মামলায় বুড়িচং থানা পুলিশ প্রথমে বাদীর বিপক্ষে পরে বাদীর পক্ষে আবার উক্ত মামলায় বুড়িচং ভূমি অফিস প্রথমে বাদীর বিপক্ষে পরে বাদীর পক্ষে প্রতিবেদন দেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে অনিয়ম ভাবে বিচারক মামলাটি নথিজাত করলে তা কুমিল্লা জজ আদালতে ২৯৪/২২ নং আপীল মামলা চলমান আছে।
অপরদিকে কুমিল্লা সহকারী জজ আদালতে ১১/২০ নং নিষেধাজ্ঞার মামলায় বাদী সত্যতা আছে মর্মে কমিশন রিপোর্ট হওয়ার পরও দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ রহিস্য জনক কারণে কোন আদেশ না দেওয়াতে বাদী পক্ষ দলিল বাতিলের জন্য কুমিল্লা সহকারী বুড়িচং জজ আদালতে ২০/২২ নং মামলা দীর্ঘ প্রায় ২ বৎসর যাবত বাদী ও সরকার পক্ষ কোন হাজির না হওয়ায় একতরফাভাবে গত ০৯/০২/২০২৩ শুনানি হয়। শুনানি হওয়ার পরেও এযাবত রহিস্য জনক কারণে কোন আদেশ দেয় নাই।
এছাড়া কুমিল্লা সহকারী জজ ফৌজদারি বুড়িচং ২ নং আমলী আদালতে জাল প্রতারণা মামলা নং ৫৬২/২১ এর দীর্ঘ ৩ বৎসর যাবত প্রথমে বুড়িচং থানায় পরে কুমিল্লা ডিবি এই যাবত রহিস্য জনক কারণে কোন তদন্ত রিপোর্ট দেন নাই বিবাদী ও সরকার পক্ষ উক্ত জমির বি.এস খতিয়ানের জন্য বুড়িচং ভূমি অফিসে নামজারী ১৭৯০/২২ নং মামলা করলে উক্ত মামলায় মালিকানা সঠিক নয় বলে মামলাটি বুড়িচং ভূমি অফিসার মামলাটি বাতিল করে দেয়।
উক্ত বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা, কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, স্থানীয় এমপি ও ঢাকা দুদক সহ উর্ধতন প্রশাসনে আবেদন করেও রহিস্য জনক কারণে এযাবৎ কোন তদন্ত ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই। ফলে বর্তমান সরকারও প্রায় ১ কোটির নতুন ভবন উক্ত জালিয়াতি দলিলের স্থানে জোরপূর্বক হামলা করে ফলন্ত গাছ কেটে নতুন দালান ঘর তৈরীর নামে সরকারি টাকা অপচয় ও আত্মসাৎ সহ সরকারের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি করার চেষ্টা দীর্ঘ দিন যাবৎ অব্যহত আছে। এছাড়া আরো বহু অনিয়ম তদন্ত করলে প্রকাশ পাবে।
উল্লেখিত অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং আমার মালিকানাধীন জমি আমাকে ফিরিয়ে দেয় আমি মুকবুল হোসেন সেই জোর দাবী জানাচ্ছি।
মোস্তাফিজ/কুমিল্লা জার্নাল
[sharethis-inline-buttons]
আপনার মতামত লিখুন :