• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২২
Designed by Nagorikit.com

শোক দিবস ও গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে কুবিতে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা

কুমিল্লা জার্নাল
[sharethis-inline-buttons]

 

নাজনীন নৈশি
কুবি প্রতিনিধিঃ

জাতীয় শোক দিবস ও ভয়াল গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আইনমন্ত্রী ও এম পি আনিসুল হক। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড.মোঃ আসাদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এস এ মালেক।

আইনমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহত তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন আর্দশ নেতা, বাংলার মানুষ তাঁকে ভালোবাসতো,জনগণের কাছে ছিল তার গ্রহণযোগ্যতা।

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা গড়তে এবং তিনি সেটা বাস্তবায়ন করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২-১৯৭৫ সালের আগষ্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর উন্নয়ন করেন। কিন্তু কিছু স্বার্থন্বেষী মহল তাঁকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা আসলেও কোনো হত্যামামলা করা হয় নি। কেননা, তিনি যে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা নয়, তিনি চাননি কোনো বিচারকার্য হোক।
কমিশনের প্রতিহিংসার কারণে, প্রতিশোধের কারণে বঙ্গবন্ধু্কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়
তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন সেটা বাস্তবায়ন করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার জণগণ ও তাদের অধিকারের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে উপাধি দেওয়া হয় ‘ বাংলার বন্ধু’। বিশ্বজুড়ে শোষিত নেতা হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। তাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ দেওয়ার জন্য বলা হলেও তিনি সেটা নিতে নিষেধ জানান। বঙ্গবন্ধু চান বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে, তাদের অধিকারের জন্য কাজ করতে।

অসম্প্রদায়িক মনোভাবের জন্য, বন্ধুত্বপূর্ন আচরনের জন্য বাংলাদেশ আজ ভারত, চীন, জাপান দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারছে।
যারা নতুন তরুণ আছেন এবং যারা বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেন, তারা যেন তাঁর সম্পর্কে জানেন ও পড়েন।

আলোচনা সভায় এক পর্যায়ে ড.মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু নিঃস্বার্থ ভাবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন তবুও কেন তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভোগ করছি,সেটা বঙ্গবন্ধুর অবদানের জন্য।
আমার অনুরোধ জানাচ্ছি, যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে নষ্ট করতে চায়, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনা হোক।

সভায় সমাপনী বক্তব্যে কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন,
বঙ্গবন্ধু ছিলেন মুক্তির ও শান্তির নেতা। একজন আর্দশের নাম। মুলত দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে তাঁকে হত্যা করা হয়।
আগামী নির্বাচনে যাতে বাংলাদেশ সরকার আরো বেশি উন্নয়নমুলক কাজ করতে পারে, এমন অনেক মানুষ আছে যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলো জানে না। তাদের কাছে সেসব জ্ঞান পৌঁছে দিতে হবে।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক – শিক্ষার্থী, কর্মকতা- কর্মচারীদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন হলের নেতৃবৃন্দ।

 

কুমিল্লাজার্নাল/জাহিদ

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • কুমিল্লা এর আরও খবর